সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET-UG) কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) থেকে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত বলেছে, 'আমরা কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ করব না। আপনারা (মামলাকারী) যদি আরও সওয়াল করেন, তাহলে মামলা খারিজ করে দেব।' উল্লেখ্য, গত শনিবার এনটিএ জানিয়েছিল যে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চালু থাকবে। তারইমধ্যে সেই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য পরবর্তী একটি দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ৮ জুলাই সেই মামলাটি ফের উঠবে।
কোন মামলা শুনছে সুপ্রিম কোর্ট?
২০২৪ সালের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়ম হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে। একই ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা আছে।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে নির্দিষ্টভাবে দাবি করা হয় যে পাটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর রাজস্থানের প্রার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সেখানেই অবশ্য বিতর্কে ইতি পড়েনি। এবার ৬৭ জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছ'জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গ্রেস মার্কস নিয়ে কী জানিয়েছে NTA?
গ্রেস মার্কসের বিষয়ে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়, দেশজুড়ে ২৪ লাখ নিট প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১,৬০০ জনকে সেই গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়। সময় নষ্টের জন্যই তাঁদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে এনটিএ। তাই কোনও কোনও প্রার্থী ৭১৯ নম্বর বা ৭১৮ নম্বর পেয়েছেন। আদতে ৭২০ নম্বরের পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭১৬ নম্বর বা ৭১৫ নম্বর হতে পারে।
যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গ্রেস নম্বর ফিরিয়ে নেওয়া হবে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার এনটিএয়ের ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধকুমার সিং জানান যে এক সপ্তাহের মধ্যে সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান এনটিএয়ের ডিরেক্টর জেনারেল।