নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে মামলা শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। তবে নতুন করে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) পরীক্ষা নেওয়া বা পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণা করার উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি রেজাল্ট প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তাহলে সেটার পরিণতি মারাত্মক হবে। প্রভাব পড়বে ২৩ লাখ পরীক্ষার্থীদের জীবনের উপর। যাঁরা গত ৫ মে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিট দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন কে?
নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে বংশিকা যাদব নামে একজন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবি করেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেলে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি ধাক্কা খায়। ভবিষ্যতের অসংখ্য ডাক্তারের জীবনে প্রভাব পড়ে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেলে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যান জালি প্রার্থীরা। সৎ এবং যোগ্য প্রার্থীদের কপাল পুড়ে যায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বংশিকা যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন, তা শুনতে রাজি হয়েছে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও নতুন করে নিট পরীক্ষার আয়োজন এবং এবারের নিট পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করার যে আর্জি জানান আইনজীবী নরেন্দর হুডা, তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
চলতি মাসের গোড়াতেই নিট পরীক্ষার আয়োজন করেছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। কিন্তু আগেভাগেই সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে ৫ মে বিহারের পাটনা থেকে যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জেরা করেই জানা গিয়েছে যে পরীক্ষার আগেরদিন রাতেই ২০ জনের হাতে প্রশ্নপত্র চলে গিয়েছিল। তাঁদের বিহারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা হয়েছিল। পাটনায় রামকৃষ্ণনগরের খেমনিচক এলাকার একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল বলে তদন্তকারী এক অফিসারকে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।
নিট নিয়ে বিপত্তি
এবার নিটে নিয়ে যেন বিপত্তির অন্ত নেই। পরীক্ষার মধ্যেই রাজস্থানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিটের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও সেইসময় নিটের আয়োজক সংস্থা এনটিএয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর সাধনা পরাশর দাবি করেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিটের প্রশ্নপত্র বলে যতগুলি ছবি পড়েছে, সেগুলির সঙ্গে আদতে নিটের প্রশ্নপত্রের ছিঁটেফোটা মিল নেই।