নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে (NEP) বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ৩০০ টির বেশি কলেজের অনুমোদন দিতে পারবে না। একইসঙ্গে কলেজগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার পাশাপাশি অধিভুক্তির ব্যবস্থা দূর করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’।
‘কোভিড -১৯ পরবর্তী শিক্ষা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করছিলাম। যখন আমি উপাচার্যকে জিজ্ঞাসা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কতগুলি কলেজে আছে, তিনি বলেন ৮০০ টি ডিগ্রি কলেজ। আমি ভেবেছিলাম আমি ভুল শুনছি। আমি আবার জিজ্ঞাসা করি এবং তিনি বলেন, ৮০০ টি কলেজ। এটি একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম। কোনও উপাচার্য ৮০০ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের নাম কি মনে করতে পারবেন?’
নিশাঙ্ক বলেন, ‘তিনি কি এত সংখ্যক কলেজের গুণমান এবং কার্যকারিতার উপর নজর রাখতে পারেন? এজন্যই জাতীয় শিক্ষানীতিতে পর্যায়ক্রমে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করব আমরা। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০০ টির বেশি কলেজ অধিভুক্ত করবে না এবং সেজন্য যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তবে আমরা তাই করব।’
গত মাসে নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। একইসঙ্গে স্বচ্ছ গ্রেডস স্বীকৃতি ব্যবস্থার মাধ্যমে কলেজগুলিকে ধাপে ধাপে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। কেন্দ্রের আশা, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে প্রতিটি স্বশাসিত ডিগ্রি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত হবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই কলেজ গড়ে উঠবে।
নিশাঙ্ক বলেন, ‘আমাদের ৪৫,০০০ ডিগ্রি কলেজ আছে। তার মধ্যে কেবল ৮,০০০ টি স্বায়ত্তশাসিত। পর্যায়ক্রমে মানের ভিত্তিতে আমরা তাদের গ্রেডিংয়ের উন্নতি করব এবং তাদের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা কলেজগুলিকে একটি ধাপে ধাপে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে।’