ফের কি হাওড়ায় ফিরতে চলেছে হারিয়ে যাওয়া গৌরব? বুধবার হাওড়ার শরৎসদনে এমএসএমই দফতরের উদ্যোগে ক্ষুদ্র , ছোট ও মাঝারি শিল্পের সিনার্জি অ্য়ান্ড বিজনেস ফেসিলিটেশন কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেই আগামী দিনে হাওড়াতে কীভাবে ক্ষুদ্র শিল্পে জোয়ার আসতে চলেছে সেকথা উল্লেখ করা হয়।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরেরর মন্ত্রী অরূপ রায় এই কনক্লেভের উদ্বোধন করেছিলেন। এমএসএমই দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ সহ একাধিক পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। সেখানেই আগামীদিনে শিল্প সমৃদ্ধ হাওড়ার ছবিকে তুলে ধরা হয়।
হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা পর্যায়ের শিল্পোদ্যোগীরা এসেছিলেন এই সিনার্জিতে। উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অন্তত ২০টি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছিল। সেখানে শিল্পোদ্যোগীরা নানা ধরনের সহায়তা পেয়েছেন।
মূলত যেটা বলা হচ্ছে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্য়ে হাওড়ার ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে। এর মাধ্য়মে হাওড়ার বিভিন্ন শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ৭৫ হাজার জনের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। এটা অত্যন্ত আশার দিক।
এদিকে বিগত দিনে হাওড়া ছিল কার্যত শিল্পনগরী। ছোট মাঝারি বহু শিল্পকারখানা ছিল হাওড়াতে। কিন্তু ধীরে ধীরে হাওড়া তার গৌরব হারাতে থাকে। বহু শ্রমিক পরিবারে নেমে আসে বিপর্যয়। শিল্প ছেড়ে দিয়ে অনেকেই অন্য পেশাকে বেছে নিয়েছেন। শিল্প ইউনিট ক্রমশ কমতে থাকায় কার্যত হতাশ হাওড়া। নতুন প্রজন্ম একেবারে দিশেহারা। তবে এবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যেতে পারে।
ধাতব যন্ত্রাংশ, শাটল কক, রাবার দিয়ে আবৃত নানা সামগ্রী, জরি শিল্প, ধাতব শিল্পের নানা দিক ফের উজ্জ্বল হতে পারে হাওড়ায়। বিনিয়োগ হবে সেখানে। আর বিনিয়োগ মানেই নতুন নতুন কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাওয়া।
একটা সময় ছিল যখন হাওড়াকে ভিনরাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজ করতেন। তবে সেসব আজ অতীত। বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্রমিক পরিবারে জমাট বাঁধা অন্ধকার। তবে সেসব এবার দূর হতে পারে। আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আবার শ্রমিক মহল্লায় খুশি ফিরে আসবে। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মানেই নানা ধরনের শ্রমিক লাগে। কাজের দরজাও খুলবে।