গিগ অর্থাৎ চুক্তিভিত কর্মী ও তাঁদের পরিবারের জন্যও সামাজিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। এমনই সুপারিশ করল নীতি আয়োগ। সামাজিক সুরক্ষা বলতে সবেতন অসুস্থতার ছুটি, বিমা এবং পেনশন পরিকল্পনার মতো সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হচ্ছে।
সোমবার নীতি আয়োগের প্রকাশিত India’s Booming Gig and Platform Economy শীর্ষক রিপোর্টে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
গিগ সংস্থাগুলিকে বার্ধক্য বা অবসরকালীন পরিকল্পনা এবং সুবিধা, বিভিন্ন বিমা কভার প্রদানের মতো সুবিধা দেওয়ার পরামর্শ করা হয়েছে।
গিগ কাজ বলতে আক্ষরিক অর্থে সাময়িক ভিত্তিতে করা কাজ বোঝায়। অর্থাত্ অন্য কোনও পেশায় নিযুক্ত হওয়ার আগে অর্থ উপার্জনের জন্য যে কাজ করা হয়। এর মধ্যে পড়ছে ফুড ডেলিভারি, ক্যাব ড্রাইভার পার্টনার, ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ, স্টোর অ্যাসোসিয়েট ইত্যাদি।
রিপোর্ট বলছে, ২০২০-২১ সালে, দেশে গিগ-কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৭ লক্ষ। যা কিনা ভারতের মোট কর্মশক্তির ১.৫%।
২০২৯-৩০ সালের মধ্যে এটি ২.৩৫ কোটি হবে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। ফলে সেই সময় নাগাদ এটি ভারতের মোট জীবিকার ৪.১% হবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে প্রায় ৪৭% গিগ কাজই মাঝারি দক্ষতার চাকরি। বাকি ২২% উচ্চ দক্ষতা এবং প্রায় ৩১% কম দক্ষতার চাকরি।
NITI আয়োগের রিপোর্ট অনুসারে মাঝারি দক্ষতার ক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। বরং নিম্ন এবং উচ্চ দক্ষতার গিগ কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে।