কাজের কি খুব চাপ যাচ্ছে? অফিসের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় ‘হ্যাঁ’ বলতেই নাকি রাতারাতি ১০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছে নয়ডার একটি স্টার্ট-আপ। আর ছাঁটাইয়ের 'কারণ' হিসেবে নাকি বলা হয়েছে যে ‘কাজের সময় যাতে কেউ চাপের মধ্যে না থাকেন’, সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ছাঁটাইয়ের ইমেলও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। স্টার্ট-আপ কর্তৃপক্ষের কাজে রীতিমতো চটে গিয়েছেন নেটিজেনরা। কীভাবে কোনও সংস্থা এরকম কাজ করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কর্মসংস্কৃতি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
'১০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে'
আর সেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে একটি লিঙ্কডইন পোস্ট থেকে। অনুষ্কা দত্ত নামে এক তরুণী নিজের লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টে একটি ইমেলের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন, 'ইয়েস ম্যাডামে কী হচ্ছে? প্রথমে একটা সমীক্ষা করালেন আপনারা। আর তারপর রাতারাতি আমাদের চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিলেন আপনারা? কারণ আমরা চাপের মধ্যে আছি। শুধু আমি নই, আরও ১০০ জনকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: Spoken English: ইংরেজি শেখাবে রাজ্য পুলিশ, এক পয়সাও লাগবে না, কীভাবে নাম লেখাবেন?
ওই তরুণী যে ইমেলের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন, সেটার বিষয়বস্তুর জায়গায় লেখা আছে 'স্ট্রেস নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে আপডেট'। আর ইমেলে লেখা আছে, 'কাজের জায়গায় আপনাদের চাপের বিষয়টি বুঝতে সম্প্রতি আমরা একটা সমীক্ষা করেছিলাম। আপনারা অনেকেই নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সেই বিষয়টাকে আমরা গুরুত্বের সহকারে দেখছি এবং সম্মান প্রদান করছি।'
আরও পড়ুন: Delhi IIT Exit Survey: আইআইটি দিল্লি থেকে সদ্য পাশ করে কতজন পেয়েছেন চাকরির অফার? বাকিদের কী ইচ্ছে?
চাপ কমাতে চাকরি থেকে ছাঁটাই!
কেউ যদি ইমেলের এতটা পড়েন, তাহলে নির্ঘাত মনে হবে যে সংস্থার তরফে নিশ্চয়ই কোনও ‘ভালো’ পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু তারপরই আসল ‘টুইস্ট’ লুকিয়ে আছে। তরুণীর পোস্ট করা স্ক্রিনশট অনুযায়ী, ইমেলে বলা হয়েছে, ‘কেউ যাতে কর্মক্ষেত্রে চাপের মধ্যে না থাকেন, সেটা নিশ্চিত করতে যে কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য চাপের কথা বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এখন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যাচ্ছে।’
আইন আনা উচিত, চটল নেটপাড়া
আর সেই ইমেলের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এটা ভেবে নেটিজেনরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন যে কীভাবে এমন পদক্ষেপ করা হল? এক নেটিজেন বলেন, ‘জঘন্য কাজ। এরকম বিষাক্ত কর্মসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আইন আনা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।’ কেউ-কেউ প্রশ্ন করেছেন, ‘এটা কোনও প্রচার কৌশল নয় তো? এখন তো মার্কেটিংয়ের জন্য লোকে যে কোনও পর্যায়ে নেমে যেতে পারে।’ যদিও সেই বিতর্কের পর থেকে স্টার্ট-আপের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Tech Job Loss: প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চলতি বছরে চাকরি হারিয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি কর্মী