ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভিত্তিই অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যা। সেই বিষয়গুলিই যদি অপশনাল হয়ে যায়, বিতর্ক তো হবেই। বিতর্কের মুখে এবার এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন(AICTE) । দুটি বিষয় অপশনালের নিয়ম প্রয়োগের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলির। অপশনালের সুযোগ যে দিতেই হবে, এমন কোনও মানে নেই।
বলা হয় মোট ১৪টি অপশনাল বিষয়ের মধ্যে অঙ্ক ও ফিজিক্স-ও থাকছে। মোট ১৪টি অপশনালের মধ্যে ক্লাস টুয়েলভে যে কোনও ৩টি বিষয় থাকলেই ভর্তি হওয়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে কেই ফিজিক্স নিয়ে তার সঙ্গে গণিত নাও নিতে পারেন। আবার উল্টোটাও হতে পারে। তবুও ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তিতে সেটা কোনও বাধা হবে না। শুক্রবারের বিবৃতিতে AICTE জানায়, ন্যাশানাল এডুকেশন পলিসি কার্যকরী করার লক্ষ্যেই এই নতুন সিদ্ধান্ত।
AICTE-র দাবি, এরফলে শিক্ষার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে। বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রীরা কারিগরি শিক্ষার জগতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
AICTE-র এক কর্তা জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রবেশিকায় অঙ্ক-ফিজিক্স থাকছে আগের মতোই। তাই সেই পরীক্ষায় বসার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সেই বিষয়গুলি পড়তেই হবে। তাই বিষয়দুটির গুরুত্ব কখনই লঘু করা হচ্ছে না।
কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে এমন পরিকল্পনার তাহলে অর্থ কী? প্রবেশিকার জন্য যে বিষয় পড়তেই হয়, সেটা ক্লাস টুয়েলভে ঐচ্ছিক হওয়ার তাত্পর্য নিয়ে উঠছে জিজ্ঞাসা।
এআইসিটিই চেয়ারপার্সন বলেন যে বায়োটেকনলজি, টেক্সটাইল ও এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বিকল্প থাকবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও অঙ্ক দ্বাদশ শ্রেণিতে না পড়ার। তাদের ব্রিজ কোর্স করলেই চলবে। তবে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কোর্সের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটবে না।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার পশ্র থেকে বলা হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য সরকাররা চাইলে পুরনো নিয়মেই চলতে পারে। তাতে সমস্যা নেই। তারা চাইলে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও অঙ্ক বাধ্যতামূলক রাখত পারে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য। এই নিয়মের মাধ্যমে শুধু কিছু ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছিলেন, সেটা ঠিক করা হচ্ছে বলে কাউন্সিলের প্রধান জানিয়েছেন। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনেই মাতৃভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।