মঙ্গলবার পরীক্ষা হয়েছে। আর বুধবার ২০২৪ সালের জুন সেশনের UGC-NET বাতিল করে দিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। বুধবার রাতের দিকে এনটিএয়ের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে ইউজিসি-নেটের আয়োজক সংস্থা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে পরীক্ষায় জালিয়াতি হয়েছে। সরাসরি 'জালিয়াতি' শব্দটি ব্যবহার করা না হলেও এনটিএয়ের তরফে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে যে ইউজিসি-নেট পরীক্ষায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। সেজন্যই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। তবে কবে ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা আপাতত জানানো হয়নি। পরবর্তীতে সেই বিষয়টি জানানো হবে।
NTA-র তরফে ঠিক কী বলা হয়েছে?
বুধবার রাতে এনটিএয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের ১৮ জুন দেশের বিভিন্ন শহরে দুটি শিফটে ওএমআর মোডে জুন সেশনের UGC-NET পরীক্ষা নিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ১৯ জুন পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিউট অফ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের থেকে কয়েকটি তথ্য জানতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)।’
সেই তথ্যের মাধ্যমে কী জানতে পেরেছে ইউজিসি?
এনটিএয়ের তরফে বলা হয়েছে, 'যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে যে ওই পরীক্ষার স্বচ্ছতার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২০২৪ সালের জুন সেশনের UGC-NET পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই সংক্রান্ত তথ্য আলাদাভাবে জানানো হবে।'
CBI তদন্ত করা হবে
ইউজিসি-নেটের আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাকে নিয়ে যে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে, সেটার তদন্ত করে দেখা হবে। আর সেইঘোষণা যেদিন করা হল, তার ঠিক আগেরদিনই ‘সাফল্যের’ সঙ্গে UGC-NET পরীক্ষা আয়োজনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিএ। যে সংস্থাকে ইতিমধ্যে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় (NEET-UG) লাগামহীন জালিয়াতির অভিযোগ সামলাতে হচ্ছে। সেই পরীক্ষা অবশ্য বাতিল করা হয়নি।
কতজন জুন সেশনের UGC-NET পরীক্ষা দিয়েছেন?
মঙ্গলবার এনটিএয়ের তরফে জানানো হয়, এবার UGC-NET পরীক্ষার জন্য ১১,২১,২২৫ জন প্রার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে পরীক্ষা দেন ৯,০৮,৫৮০ জন। যা শতাংশের বিচারে ৮১ শতাংশের মতো। প্রথম শিফটে পরীক্ষা দেন ৪,৭৩,৪৮৪ জন। দ্বিতীয় শিফটে ৪,৩৫,০৯৬ জন পরীক্ষা দেন।