জুনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এমনটাই আশাপ্রকাশ করলেন ওড়িশার স্কুল ও গণশিক্ষা মন্ত্রী সমীর দাস। তিনি জানান, ভালোমতোই এগোচ্ছে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। চলতি মাসের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে গত ২১ এপ্রিল দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিল ওড়িশা। ৩ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল সেই পরীক্ষা। এবার প্রায় ৬.৫ লাখ পড়ুয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মূল্যায়নের মাধ্যমেই পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
ওড়িশা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক এবং বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ধরা হবে। সেইসঙ্গে দশম শ্রেণির দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্র্যাকটিস টেস্টের নম্বরও বিবেচনা করবে পর্ষদ। তার ভিত্তিতে প্রতিটি বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ‘নবম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ৪০ শতাংশ যোগ করা হবে। দশম শ্রেণিতে যে তিনটি প্র্যাকটিস টেস্ট হয়েছে, তার মধ্যে দুটি সর্বোচ্চ নম্বরের ৩০ শতাংশ ধরা হবে। যদি কোনও পড়ুয়া একটিও প্র্যাকটিস টেস্ট না দিয়ে থাকে, তাহলে নবম শ্রেণিতে পরীক্ষার (ষাণ্মাসিক এবং বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর) ভিত্তিতেই ১০০ শতাংশ নম্বর মিলবে। প্রতিটি বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বর ধরা হবে।’ সেইসঙ্গে কোনও পড়ুয়া যদি দশম শ্রেণির একটি প্র্যাকটিস টেস্ট দেয়, তাহলে নবম শ্রেণির পরীক্ষার ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলভিত্তিক মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। যদি কোনও পড়ুয়া নিজের প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পর্ষদ যখন পরীক্ষা হবে, তখন সেই লিখিত পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে।