'পিএম-শ্রী' প্রকল্পে (প্রধানমন্ত্রী স্কুলস ফর রাইসিং ইন্ডিয়া বা PM-SHRI) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যে প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৪,৫০০ টি স্কুলের মানোন্নয়ন করা হবে। চলতি বছর প্রথম দফায় ওই স্কুলগুলির মানোন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তার ফলে লাভবান হবে ১৮ লাখ পড়ুয়া।
'পিএম-শ্রী' প্রকল্প (PM-SHRI) কী?
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'পিএম-শ্রী' প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক দিবসে সেই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় মডেল স্কুল গড়ে তোলার জন্য 'পিএম-শ্রী' প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। অর্থাৎ নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, তা পূরণ করা হবে। সেজন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচ বছরের জন্য 'পিএম-শ্রী' প্রকল্পে ২৭,৩৬০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ১৮,১২৮ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: Teachers’ Day: ১৪ হাজারেরও বেশি স্কুলের ভোল পাল্টে দেওয়ার 'উপহার' প্রধানমন্ত্রীর
সেই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'নয়া কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল/স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েত পরিচালিত ১৪,৫০০-র বেশি স্কুলের মানোন্নয়ন করা হবে। পিএম শ্রী স্কুলে ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির যাবতীয় বিষয়গুলি তুলে ধরবে পিএম-শ্রী স্কুল। যা এলাকার বাকি স্কুলগুলির কাছে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে।'
কীভাবে পিএম-শ্রী স্কুলের আওতায় স্কুল বেছে নেওয়া হবে?
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সেই প্রকল্পের আওতায় নয়া কোনও স্কুল তৈরি করা হবে না। বরং কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল/স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েত পরিচালিত যে স্কুলগুলি আছে, সেগুলির মানোন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হবে। স্কুলগুলিকে অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে হবে। প্রতি বছরে চারবার এবং প্রতি ত্রৈমাসিকে একবার সেই অনলাইন পোর্টাল চালু করা হবে। প্রথম দু'বছরে সেভাবেই পোর্টাল চালু রাখা হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের নিরিখে তিনটি পর্যায়ের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্কুলগুলি বেছে নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কেন্দ্রের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ন্যূনতম মানদণ্ডের ভিত্তিতে পিএম-শ্রী প্রকল্পের আওতায় একগুচ্ছ স্কুল বেছে নেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ে যে স্কুলগুলিকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। সশরীরে ওই স্কুলগুলিতে পর্যবেক্ষণ চালানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
কীভাবে 'গ্রিন স্কুলে' পরিণত হবে পিএম-শ্রী স্কুল?
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ওই স্কুলগুলিতে 'গ্রিন স্কুল' হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কারণ ওই স্কুলগুলিতে জল সংরক্ষণ, শক্তি সাশ্রয়কারী পরিকাঠামো, জৈব জীবনযাপনের ধরণের মতো বিষয় থাকবে।