বুধবারই ত্রুটির বিষয়ে স্বীকার করে নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, যে প্রার্থীদের অভিযোগ আছে, তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। পর্ষদকে তৈরি করতে হবে একটি পোর্টাল। যে অভিযোগ জমা পড়বে, তা ১৫ দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
দিনকয়েক আগেই ৭৩৮ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তথ্য যাচাই এবং ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই তালিকার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পাঁচ প্রার্থী। তাঁরা দাবি করেন, অনেক যোগ্য প্রার্থীর নাম নেই তালিকায়। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করে নেয় পর্ষদ। জানানো হয়, কয়েকটি ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। সেগুলি সংশোধন করে নেওয়া হবে। বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়ে কী ভাবছে পর্ষদ, তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য পর্ষদকে একটি পোর্টাল খুলতে হবে। তাতেই প্রার্থীরা অভিযোগ জানাবেন। ১৫ দিনের মধ্যে সেই অভিযোগের খতিয়ে দেখতে হবে বলে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে। পরীক্ষায় ছ'টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যাঁরা ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। তারইমধ্যে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরও মামলা দায়ের হয়েছিল। তারইমধ্যে দিনকয়েক আগে পর্ষদের তরফে ৭৩৮ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, যাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এবং ভুল প্রশ্নের জন্য সর্বাধিক ছয় নম্বর দেওয়ার পর ২০১৪ সালে টেটে উত্তীর্ণ হয়েছেন। চলতি বছরের মধ্যেই তাঁদের স্ক্রুটিনি ও তথ্য যাচাই এবং ভাইভা এবং অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য ডেকেছে পর্ষদ।