মঙ্গলবার ৪৭৮ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ যে প্রার্থীরা অফলাইনে আবেদন করেছিলেন, মেধাতালিকায় তাঁদের নাম আছে। সেইসঙ্গে যে অনলাইন আবেদনকারীরা প্রথম তালিকায় ছিলেন না, তাঁদেরও একাংশের নাম আছে।
এমনিতে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাতে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। দাবি করেছিলেন, ২০১৪ সালের টেটে ছ'টি ভুল প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তা না করেই কীভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে পর্ষদ? কারণ পুনর্মূল্যায়নের পর তো তাঁদের নম্বর বৃদ্ধি পেয়ে টেটে উত্তীর্ণ করতে পারতেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারেন। সেজন্য পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। বরং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, মামলাকারী প্রার্থীদের আবেদনের জন্য বাড়তি সময় বরাদ্দ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেইমতো অফলাইন আবেদন গ্রহণ করেছিল পর্ষদ। সেই অফলাইনে আবেদনকারীদের নাম এবার মেধাতালিকায় আছে।
দেখে নিন মেধাতালিকা:
কিন্তু অনলাইন আবেদনকারীদের মধ্যে কারা মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন? পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে যে শেষ প্রার্থী ছিলেন, তাঁর থেকে যে প্রার্থীরা কম নম্বর পেয়েছিলেন এবং তাঁরা মেধাতালিকায় ঠাঁই পাননি, তাঁরা মঙ্গলবারের মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।