লকডাউনের কারণে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে পাঁচ মাসের জন্য কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক অনুদান চাইল অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ প্রাইভেট স্কুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানানো হয়েছে।
প্রাইভেট স্কুলস অ্যান্ড চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি সৈয়দ শামাইল আহমেদ চিঠিতে বলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে ভার্চুয়াল অনলাইন পঠন পাঠন এবং কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট করে যাচ্ছেন শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা। কিন্তু এঁরা সকলেই অনাহারে আছেন।
পটনা সদর দফতর সমিতির দাবি, সারা দেশে প্রায় ২ লক্ষ সদস্য আছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে, এই গুরুতর বিষয়টিকে গভীরভাবে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। অনেক পরিবার ও জীবন বাঁচাতে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকে অর্থ বরাদ্দের আর্জি জানানো হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকরাও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরূপ চিঠি পাঠিয়েছেন এবং ৩০ শে জুনের মধ্যে PMO ২০ লক্ষ চিঠি পাবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ শামাইল আহমদ ।
অর্থ বরাদ্দের মানদণ্ডের বিষয়ে আহমদ বলেন, সরকার তার বিদ্যালয়ে শিশু প্রতি যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তা এই বছরের মার্চ থেকে জুলাই এই পাঁচ মাসের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেওয়া যেতে পারে।
আহমদ চিঠিতে জানিয়েছেন, UDISEতে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ডেটা জমা দেওয়া হয়েছে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২০১২-১৩ সালে ইউনিফাইড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন (UDISE) চালু করেছিল। এখানে বিদ্যালয়গুলি নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের এবং কর্মচারীদের সংখ্যার উপর সাম্প্রতিক তথ্য দিয়ে থাকে।
লকডাউন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিভাবকেরা আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে আছেন। অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় স্কুলগুলি অভিভাবকদের ফি জমা দিতে বাধ্য করছে না।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা আপনার সহায়তা চাই এবং বিশ্বাস করি যে আপনি আমাদের হতাশ করবেন না। স্কুল অ্যাকাউন্টগুলিতে দয়া করে অর্থ বরাদ্দ করুন।
জাতীয় সভাপতি জানান, কর্মচারীদের বেতন প্রদান ছাড়াও একটি স্কুলের অন্যান্য ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে বিল্ডিংয়ের ভাড়া, বিভিন্ন ব্যাংক লোন, রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জলের বিল এবং কর।