সদ্য ইউজিসির তরফে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে একটি মাত্র পরীক্ষার মধ্যে নিট ও জেইই অন্তর্ভূক্ত করার। ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনা ঘটলে পড়ুয়াদের ওপর চাপ কমে যাবে। জ্ঞানের আধারকে ব্যবহার করে পড়ুয়ারা বিভিন্ন পড়াশোনার দিকের সন্ধান পাবে।
এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, সিইইউইটি পরীক্ষার আওতাতেই জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষাকে রাখা হবে। তিনি বলছেন, 'একটা বড় অংশের পড়ুয়ারা এই দুটি পরীক্ষাতেই অবতীর্ণ হন। এগুলি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির আওতায় সংগঠিত হয়। তাই আমরা ভাবছি কেন সিইউইটিকে ব্যবহার করা হবে না। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের পরীক্ষায় শুধু সিইউইটিকে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে।' এদিকে, এই বিষয়টি পড়ুয়াদের জন্য কতটা ভাল বা মন্দ হবে তা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন বিশিষ্ট গণিতবিদ তথা শিক্ষাবিদ আনন্দ কুমার। তিনি বলছেন, ভারতীয় পড়াশোনার পরিকাঠামোয় এমনটা সম্ভব হওয়া কঠিন। তাঁর মতে 'কারণ, রাজ্য ও কেন্দ্রের বোর্ডের পড়াশোনার ধরণই আলাদা। প্রথমে পড়াশোনাকে একটি মানের আওতায় আনতে হবে। নয়তো গ্রামের পড়ুয়ারা পিছিয়ে থাকবে।' তবে তিনি বলছেন ইউজিসির এই ভাবনা চিন্তার বিরোধী তিনি নন। কোন ডালে কোন ফোড়োন দিতে হয়? ভাল রান্নার সিক্রেট টিপস একনজরে
এডুকেশন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কোশব আগরওয়াল বলছেন, 'সিইউইটি ও জেইইর স্তরের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়াও সিইউইটি পরীক্ষা নিয়ে অনেক কয়টি সমস্যা রিপোর্ট হয়েছে। আগে সরকার সফল সিইউইটি পরীক্ষা সংগঠিত করুক, তারপর এই প্রস্তাবকে কার্যকরি করার কথা ভাববে।' 'এডুকেশনাল ইনিশিয়েটিভস' এর সহ প্রতিষ্ঠাতা শ্রীধর রাজাগোপালন বলছেন, 'উচ্চমানের পরীক্ষা' সংগঠিত করতে পারলে এমন ভাবনা খুবই ভাল। উল্লেখ্য, নিট পরীক্ষা হয়ে থাকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এটির ইউজি পরীক্ষা এমবিবিএস ও বিডিএসএর এন্ট্রান্স। অন্যদিকে জেইই মেইনস হয়ে থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য। ইউজিসি চাইছে এই দুই পরীক্ষার একটিই এন্ট্রান্স সংগঠিত করার।