বেশ কিছু দিন ধরে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিষেক গুপ্ত(নাম পরিবর্তিত)। বাড়ি হুগলি জেলার কোন্নগরে। আরআরবি-র গুডস গার্ডের ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার আগে লোকেশন দেখে চক্ষু চড়কগাছ। কোন্নগরের প্রার্থীর পরীক্ষার সিট পড়েছে দেরাদুনে! শেষে পরীক্ষা দিতে গেলেন তিনি।
অভিষেকের না হয় স্বচ্ছল পরিবার। কিন্তু যাঁদের সেই ক্ষমতা নেই? প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে যেতে পারছেন না তাঁরা।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে বহু অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর তাতেই বোধ হয় কাজ হল। অবশেষে ঘুম ভাঙল রেলের নিয়োগকারীদের।
আরআরবি জানিয়েছে, আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য, তাঁদের বাড়ি থেকে ৩০০ কিলোমিটার পরিসরের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র বরাদ্দ করা হবে। 'প্রার্থীদের ক্রমাগত অভিযোগ এবং যাতায়াতের সময় কমানোর জন্য, আমরা প্রার্থীদের অবস্থান এবং পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি লিঙ্ক করতে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করব,' জানালেন এক রেল আধিকারিক।
'আমরা প্রত্যেক প্রার্থীর পিন কোড সংযুক্ত করছি। এর মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি তাদের বাসস্থানের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ফেলা যাবে,' ব্যাখা করলেন তিনি।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি যাতে সহজে যাতায়াত করা যায়, এমন স্থানে হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। 'প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে সেটা একটি প্রতিবেশী রাজ্যেও হতে পারে। তবে দূরত্ব কম হওয়ায় খুব বেশি সমস্যা হবে না,' জানালেন রেল আধিকারিক।
নয়া এই সিস্টেম দ্রুত কার্যকর হচ্ছে। আগামী ৩০ জুলাই লেভেল সিক্স এবং লেভেল ফোর কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT)। সেটা থেকেই এই নিয়ম চালু করা হবে। ৭,০২৬টি পদের জন্য সেদিন প্রায় ৬০,০০০ চাকুরিপ্রার্থী পরীক্ষা দেবেন। দেশের প্রায় ৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
'এখনও পর্যন্ত, আমরা প্রায় ৯৯% প্রার্থীদেরই ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র বরাদ্দ করেছি। মহিলা প্রার্থীদের সকলকেই ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে সিট দেওয়া হয়েছে,' জানালেন এক রেল আধিকারিক।