আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে রেলের একাধিক শূন্যপদ নিয়োগের পরীক্ষা। দু'দফায় নয়া বছরের মার্চ পর্যন্ত সম্ভবত পরীক্ষা চলবে। তারপর তৃতীয় দফার পরীক্ষা হবে আগামী জুনে।
রেলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস বিধি মেনে আগামী ১৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফার পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। সবমিলিয়ে তিন দফায় ২.৪৪ কোটি প্রার্থী পরীক্ষায় বসবেন।
সেই পরীক্ষাগুলির জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, দেখে নিন একনজরে -
১) প্রার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
২) পরীক্ষায় বসার জন্য একটি ঘোষণাপত্রে (সেলফ ডিক্ল্যারেশন ফর্ম) স্বাক্ষর করতে হবে। তাতে লেখা থাকবে যে ওই প্রার্থী পরীক্ষায় বসার জন্য শারীরিকভাবে ফিট। রেলওয়ে বোর্ডের মানব-সম্পদের ডিরেক্টর জেনারেল আনন্দ এস খাতি বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে যেহেতু রোগের (করোনার) নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রদান করা সম্ভব নয়, তাই পরীক্ষায় বসার জন্য তাঁদের একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। জানাতে হবে, তাঁরা পরীক্ষায় বসার জন্য ফিট এবং কোভিড পজিটিভ নয়। সেজন্য প্রার্থীদের একটি ফর্ম প্রদান করা হবে।’
৩) থার্মোগান দিয়ে প্রার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। যদি কোনও প্রার্থীর শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার বেশি থাকে, তাহলে পরীক্ষার দিন পালটে দেওয়া হবে। খাতি বলেন, ‘এটা সুরক্ষার বিষয়। পরীক্ষার্থীদের নিজেদের রাজ্যের কেন্দ্রে দেওয়া আসন দেওয়া হয়েছে বা এমন কেন্দ্রে আসন ফেলা হয়েছে, যেখানে ন্যূনতম যাতায়াত করতে হবে। বিশেষত মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের (ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে)।’
৪) রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার চারদিন আগে থেকে ই-কল লেটার ডাউনলোড করা যাবে। যা সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের (আরআরবি) সাইটে থাকবে।
৫) যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে প্রার্থীদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন খাতি। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে সুরক্ষিত পরিবেশে কম্পিউটার-বেসড পরীক্ষা আয়োজনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে সহায়তার আর্জি জানানো হয়েছে
৬) পরবর্তী পর্যায়ের পরীক্ষার দিন নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হবে বলে রেলের তরফে জানানো হবে। একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে সফল প্রার্থীরা হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন।