রেলে ১.২৪ লক্ষ শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। লক্ষ্ণৌতে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
১.২৪ লক্ষ শূন্যপদের জন্য অধিদফতরে ১.৪০ কোটি আবেদন জমা পড়েছে।
বর্তমানে রেলে ১২ লক্ষেরও বেশি কর্মী আছেন। কিছুক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগে কর্মী কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। কিন্তু তা সত্ত্বে সময়ের সঙ্গে রেলে চাকরি আরও বৃদ্ধিই পাবে। শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিংয়েই ২২ লক্ষ চাকরি আছে। মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের মাধ্যমে জোর দেওয়া হচ্ছে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগে।
বৃহস্পতিবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রেলমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, 'বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া বিরোধীদের কোনও ইস্যু নেই। রেলের বেসরকারিকরণের আলোচনা সম্পূর্ণ অর্থহীন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ইতিমধ্যেই সংসদে তা স্পষ্ট করেছেন।'
বেসরকারিকরণের কথা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, রেলপথ, বৈদ্যুতিক তার, কোচ, ইঞ্জিন, স্টেশন, সিগন্যালিংসহ প্রায় সব কিছুই সরকারের থাকছে। আজও সরকার রেলওয়েকে ৫৩ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। ৫,৫০০ কোটি টাকা পেনশন বাবদ এবং ৯,৭০০ কোটি টাকা বেতন বাবদ খরচ হচ্ছে।
ভারতীয় রেলের আপগ্রেডেশনই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, '২০২৩ সালের মধ্যে ইউপিসহ দেশের প্রায় ২০০টি রেলস্টেশনকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।'
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন লখনউতে পৌঁছে যাওয়া রেলমন্ত্রী। বেসরকারিকরণের কথা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, রেলপথ, বৈদ্যুতিক তার, কোচ, ইঞ্জিন, স্টেশন, সিগন্যালিংসহ সবকিছুই সরকারের। আজও সরকার রেলওয়েকে ৫৩ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। 5500 কোটি টাকা পেনশন বাবদ এবং 9700 কোটি টাকা বেতন বাবদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি পুরোনো স্টাইল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার ভাবনা অনুযায়ী রেলস্টেশন থেকে শুরু করে ট্রেনের বগিসহ পুরো প্রযুক্তিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
আরআরবি গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষা, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। এদিকে করোনার তৃতীয় ওয়েভের মাঝে পরীক্ষা আদৌ হবে কিনা, সেটাই প্রশ্নের মুখে। গত বছরের শুরুতেও করোনার কারণে পরীক্ষা হয়নি। রেলওয়ের এই নিয়োগে, গ্রুপ ডি-র ১.০৩ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করা হবে। গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন ১ কোটি ১৫ লক্ষ।