বহু সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে। দেয় অনুদান। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সংস্থা আছে, যেগুলি শুধুমাত্র সমাজের আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের মেধাবী মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বৃত্তি দেয়।
এরকমই কয়েকটি বৃত্তির বিশদ বিবরণ রইল। দেখে নিন সেগুলি -
• L’Oréal ইন্ডিয়া 'ফর ইয়ং উইমেন ইন সায়েন্স স্কলারশিপ' (FYWIS)
বিজ্ঞান শাখায় ছাত্রীদের উচ্চতর শিক্ষার পথ প্রশস্ত করার জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
FYWIS বৃত্তির আওতায়, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান শাখায় দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করা এবং বিজ্ঞানের কোনও বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরে ভরতি হওয়া ছাত্রীরা আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ পেতে পারেন।
যোগ্যতা :
১) প্রার্থীকে ভারত থেকে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান বিভাগে কমপক্ষে ৮৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে হবে।
২) পরিবারের বার্ষিক আয় চার লাখ টাকার বেশি হওয়া যাবে না।
৩) চলতি বছর ৩১ মে পর্যন্ত আবেদনকারীর সর্বাধিক বয়স ১৯ হতে হবে।
৪) দ্বাদশ শ্রেণির পরে এক বছরের ব্যবধান থাকা প্রার্থীরা যোগ্য নন।
আবেদনের প্রক্রিয়া : Buddy4Study পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৫ অক্টোবর, ২০২০।
• লেগ্র্যান্ড স্কলারশিপ
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার নিয়ে কেরিয়ার গড়তে ইচ্ছুক মেধাবী ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে লেগ্রান্ড। ২০১৮-১৯ সাল থেকে ছাত্রীদের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলছে তারা।
এই বৃত্তির আওতায় ছাত্রীরা পুরো বিই / বিটেক / বার্চ কোর্সের জন্য আর্থিক সহায়তা পাবেন।
যোগ্যতা :
১) ২০২০ সালে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করা ভারতীয় ছাত্রীদের জন্য এই বৃত্তি।
২) দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন।
৩) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভারতের কোনও স্বীকৃত কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.টেক / বিই / বিআর্চ কোর্সে ভরতি হওয়া ছাত্রীরা এই বৃত্তি পাবেন।
৪) পারিবারের বার্ষিক আয় অবশ্যই পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া : Buddy4Study পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বৃত্তির অঙ্ক : টিউশন ফি'র ৬০ শতাংশ বা বার্ষিক ৬০,০০০ টাকার মধ্যে যেটি কম হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ অক্টোবর, ২০২০।
• এআইসিটিই প্রগতি বৃত্তি
অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন (এআইসিটিই) প্রতি বছর এই বৃত্তি প্রদান করে। মোট ৫,০০০ ছাত্রীকে প্রযুক্তিগত ডিপ্লোমা / ডিগ্রি কোর্সের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
একই পরিবারের দুই মেয়ে এই বৃত্তি পেতে পারেন। এই বৃত্তির মূল লক্ষ্য হল কমবয়সি মেয়েদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা, যাতে তাঁরা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে পারেন।
যোগ্যতা :
১) ১০ + ২ বা সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বছর বা দ্বিতীয় বর্ষে (পার্শ্বীয় প্রবেশের মাধ্যমে) কারিগরি ডিগ্রি / ডিপ্লোমা কোর্স করছে এমন ছাত্রীদের জন্য এই বৃত্তি।
২) পরিবারের বার্ষিক আয় আট লাখ টাকার কম হতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া : National Scholarship পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বৃত্তির অঙ্ক : বার্ষিক ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
আবেদনের শেষ তারিখ : ৩১ অক্টোবর,২০২০।
*একক বালিকা সন্তানের জন্য স্নাতকোত্তর ইন্দিরা গান্ধী বৃত্তি:
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দ্বারা প্রবর্তিত এই প্রকল্পে প্রতি বছর ৩,০০০ ছাত্রী বৃত্তি পান। স্নাতকোত্তর পড়াশোনায় সহায়তার জন্য এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা :
১) অবশ্যই পরিবারের একমাত্র সন্তান হতে হবে।
২) অবশ্যই একটি স্বীকৃত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত, পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সের প্রথম বর্ষে ভরতি হতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া : National Scholarship পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বৃত্তির অঙ্ক : দু'বছরের জন্য বার্ষিক ৩৬,২০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ অক্টোবর, ২০২০।