২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। এর জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা তিন সপ্তাহ এগিয়ে এসেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা। আবার ১৬ তারিখ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শুরু। একই সঙ্গে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষাও ওই সময়। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির দাবি, একই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন বন্ধ করা হোক। এতে সমস্যা বাড়ে বৈ কমে না। কারণ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষার চাপ থাকছে তখন। পাশাপাশি বার্ষিক একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার খাতাও তাদের দেখতে হলে মূল্যায়নের সমস্যা হতে পারে।
অন্য বার দুটি পরীক্ষার মধ্যে বেশ কিছুদিনের তফাত ছিল। এবারে পরীক্ষার খাতা দেখে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা দেওয়ার দিনক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে একই দিনে পড়েছে। এতেই প্রবল সমস্যায় পড়তে হতে পারে পরীক্ষকদের।
তা ছাড়া, বেশ কয়েক বছর ধরেই স্কুলে পরীক্ষক-শিক্ষকদের অন ডিউটির সংখ্যা কমাতে হচ্ছে । এর জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রধান পরীক্ষকদের থেকে এক দিনেই খাতা সংগ্রহ করতে হয়। এবার খাতা দেখে জমা দেওয়ার জন্য মাত্র দু’দিন ধার্য করা হয়েছে। আগে এই সময়সীমা তিনদিন ছিল। সেই সঙ্গে লোকসভা ভোটের কারণে কিছু শিক্ষকদের ভোটের ডিউটি রয়েছে। তাঁদের দু’দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ওর মধ্যে একদিন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে যেতে হবে। ফলে সব মিলিয়েই চাপ বাড়ছে পরীক্ষকদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে তাই এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আর্জি জানাচ্ছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ শিক্ষকদের দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখালে কোনও সমস্যা থাকে না। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চর সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যে পর্ষদ ও সংসদ সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিষয়টি ভেবে দেখবার আশ্বাস দিয়েছেন। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে এই দিন বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের দিয়েই আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করি।