বাংলা নিউজ > কর্মখালি > কড়া স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে ফের চালু হচ্ছে স্কুল, চলবে অনলাইন শিক্ষাও

কড়া স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে ফের চালু হচ্ছে স্কুল, চলবে অনলাইন শিক্ষাও

পড়ুয়া ও শিক্ষক এবং অশিক্ষক স্কুলকর্মীদের জন্য সম্পূর্ণ স্যানিটাইটিজেশন, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কিছু রাজ্য স্কুল ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও অনেক রাজ্যই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল পুনরায় চালু করা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তার জেরে কিছু রাজ্য স্কুল ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও অনেক রাজ্যই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যে সমস্ত রাজ্যে স্কুলে ফের ক্লাস চালু হতে চলেছে:

অসম: সোমবার থেকে, নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। ১৫ দিন পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হরিয়ানা: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের থেকে পরামর্শ নিতে স্কুলে যেতে পারে, অন্যথায় স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে। হরিয়ানার কার্নাল এবং সোনপতের দুটি সরকারি স্কুল ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে খোলা হয়েছে। ছাত্র এবং শিক্ষকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রঙিন কোড অনুসারে গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশ: হিমাচল প্রদেশ সরকার কেবলমাত্র কনটেনমেন্ট জোনগুলির বাইরে সোমবার থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্ধ্র প্রদেশ: কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু হবে।

কর্নাটক: ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল আংশিক ভাবে খোলার অনুমতি থাকলেও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হবে না। শুধুমাত্কের শিক্ষকদের থেকে পরামর্শের প্রয়োজনে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা যদি তাদের গাইডেন্সের প্রয়োজন হয় তবে তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।

দিল্লিতে, স্কুলগুলি পাঁচ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সিনিয়র শিক্ষার্থীদের (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির)অভিভাবকরা যদি অনুমতি দেন তবেই তারা শিক্ষকদের গাইডেন্সের জন্য স্কুলে যেতে পারবে।

গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, কেরল, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এখন ক্লাস শুরু হবে না। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে জম্মু কাশ্মীরের স্কুলগুলি আংশিক ভাবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় চালু হবে।

বিদ্যালয়গুলি পুনরায় চালু করার জন্য জারি করা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত নির্দেশিকাতে,  সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কর্মী উভয়ের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য বিদ্যালয়ের গেটে থার্মাল গান রাখা বাধ্যতামূলক করেছিল। সম্পূর্ণ স্যানিটাইটিজেশন, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুলগুলিকে কেবলমাত্র মোট ক্ষমতার ৫০ শতাংশ নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। স্কুলে ক্লাস চালু হলেও অনলাইনে ক্লাসও চলতে থাকবে।

 

বন্ধ করুন