কর্মীদের নিয়ে মোটেও খুশি নন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। সম্প্রতি একটি বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। তাতে কর্মীরা কীভাবে আরও দক্ষভাবে কাজ করবেন তার উপর আরও মনোনিবেশ করার কথা বলেন তিনি। সুন্দর পিচাইয়ের মতে, বর্তমানে গুগলের প্রোডাক্টিভিটি কম। অন্তত যে সংখ্যক কর্মী আছে, তার তুলনায় অনেকটাই কম। এর থেকে এটাই মনে করা হচ্ছে যে, সুন্দর পিচাইয়ের মতে, গুগলের অনেক বেশি কর্মী রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বেশিরভাগই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেন না।
ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে Google-এ চাকরি স্বপ্নে মতো। বিপুল বেতন, ঝাঁ-চকচকে অফিস, কাজের নিশ্চয়তা, সেরা প্রকল্পে কাজের সুযোগ, অতিরিক্ত সুবিধা- গুগলের চাকরি যেন সাত রাজার ধন মানিক। এদিকে সেই গুগলের কর্মীদেরই আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংস্থার সিইও।
CNBC-র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, পিচাই কর্মীদের এমন একটি কর্ম-সংস্কৃতি তৈরি করতে বলেছেন যাতে, আরও বেশি মিশন-কেন্দ্রিক হিসাবে কাজ করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের আরও বেশি মনোযোগী, আরও বেশি গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। অমনোযোগীতা কমিয়ে কীভাবে কাজের মান আরও উন্নত করা যায়, সেই নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক গুগলের আয়ের রিপোর্ট প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে প্রথম ত্রৈমাসিকের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ছিল। গুগল গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের একই ত্রৈমাসিকে ১৩% শতাংশ কম প্রবৃদ্ধির রিপোর্ট করেছে। অনেকের মতে, সেই কারণেই কপালে ভাঁজ গুগল কর্তাদের।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি, গুগল তার কর্মীর প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী তিন মাসের জন্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত স্টাফিংয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকের মতে, এর থেকে একটাই ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট। আগামিদিনে গুগল কিছু সংখ্যক কর্মীকে বরখাস্ত করতে পারে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও গুগল জানিয়েছিল যে, তারা আপাতত নিয়োগের প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর করবে। শুধু গুগলই নয়। গত কয়েক সপ্তাহে নিয়োগ, কর্মী সংখ্যার ফাইল নিয়ে ঘাঁটছে বেশিরভাগ আইটি, সফটওয়্যার সংস্থা। কর্মী বরখাস্তও করেছে বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি জায়েন্ট। খারাপ অবস্থা স্টার্ট-আপ সেক্টরেও।