বাংলা নিউজ > কর্মখালি > লকডাউনে স্কুল ফি মেটানোয় স্থগিতাদেশের আর্জি, খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

লকডাউনে স্কুল ফি মেটানোয় স্থগিতাদেশের আর্জি, খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট (ছবি সৌজন্য টুইটার)

অধিকাংশ আবেদনকারী দাবি করেন, ফি জমা দিতে হলে তাঁরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হবেন।

লকডাউন তুলে নেওয়ার আগে পর্যন্ত স্কুলের ফি পিছিয়ে দেওয়া বা স্থগিতাদেশের (মোরাটোরিয়াম) আর্জি জানিয়েছিলেন আটটি রাজ্যের অভিভাবকরা। সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে এরকম বিষয়গুলি প্রশাসনিক স্তরে সমাধান না করে আদালতের ওঠায় দুঃখপ্রকাশ করল শীর্ষ আদালত।

আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেন, ‘এরকম বিষয় শোনার বিষয়টা অত্যন্ত অদ্ভুত মনে হয়। এটা প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত।’ তবে শুধু এটাই নয়, পরিযায়ী শ্রমিক, করোনার পরীক্ষার টাকার মতো প্রশাসনিক বিষয়গুলিও আদালতে আসায় আক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘এই মুহূর্তে আমরা জানি না, কী করা উচিত। এরকম ক্ষেত্রে রাজ্যের ভিত্তিতে সমস্যা ভিন্ন হতে পারে। আবেদনকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। যখন আমরা নোটিশ জারি করতে অস্বীকৃত হই, তখন (তাঁরা) হতাশ হয়ে পড়েন।’

আবেদনকারীদের আইনজীবী মায়াঙ্ক শিরসাগর আদালতে জানান, স্কুলের ফি জমার ক্ষেত্রে কোনও অভিন্ন রীতি নেই। বরং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের সাতটি হাইকোর্ট ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘এটা দুঃখজনক পরিস্থিতি। যৌক্তিকতার ভিত্তিতে আপনাদের আর্জি খারিজ করতে চাই। কিন্তু আপনারা এক্তিয়ারভুক্ত হাইকোর্টে যাচ্ছেন না কেন? এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে, এমনকী এক জেলা থেকে অপর জেলার ক্ষেত্রেও।’

গত এপ্রিল-জুন পর্যন্ত বা স্কুল আবার না খোলা পর্যন্ত ফি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ চেয়ে আর্জি জানান দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশা এবং উত্তরাখণ্ডের ১০ জন অভিভাবক। অধিকাংশ আবেদনকারী দাবি করেন, লকডাউনের সময় তাঁরা চরম আর্থিক কষ্টে পড়েছেন এবং ফি জমা দিতে হলে তাঁরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হবেন।

একইসঙ্গে লকডাউন কার্যকর হওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস করার জন্য সামাজিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানান তাঁরা। ‘ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে’-র ২০১৭-১৮ সালে পরিসংখ্যান তুলে ধরে আবেদনকারীরা জানান, দেশের মাত্র ৪.৪ শতাংশ গ্রামীণ বাড়ি এবং শহরাঞ্চলের মাত্র ২৩ শতাংশ বাড়িতে কম্পিউটার রয়েছে। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে ৪২ শতাংশ বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। গ্রামের ক্ষেত্রে তা ১৪.৯ শতাংশ।

কর্মখালি খবর

Latest News

২২-এ পা! মায়ের হাত ধরে কেক কাটলেন সারেগামাপা খ্যাত অঙ্কিতা, পেলেন কী কী উপহার? মন্নত ছাড়াও লন্ডন, দুবাইয়ে আছে শাহরুখের বাড়ি, আর কোন কোন Kingdom-এর মালিক তিনি সিগারেট-মদে ডুবে থাকে, বাঙালিদের তোপ মোদীর উপদেষ্টার, ‘অপমান’ মৃণাল সেনকে ‘আপকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা’, অভিযোগ কেজরিওয়ালের, ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজত ভিডিয়ো: RR vs DC ম্য়াচের আগে নেটের পিছন থেকে পন্তকে তাতালেন বোলার অশ্বিন Skin Care: আপনার মুখ দাগে ভর্তি হয়ে গিয়েছে! এইভাবে বেসন দিয়ে মুখের দাগ দূর করুন শুধু নেট পরীক্ষার স্কোর দিয়েই PhDতে ভর্তি, হবে না পৃথক পরীক্ষা, জানিয়ে দিল UGC ‘‌বিজেপি প্রার্থীকে ভোট না দিলে পরে ব্যবস্থা হবে’‌,‌ তদন্তে নির্বাচন কমিশন বিয়ে নয়, কেবল বাগদানই সেরেছেন অদিতি-সিদ্ধার্থ? আংটি দেখিয়ে কী লিখলেন? ব্যক্তি মমতা নন, তাঁর রাজনীতিকে বোঝাতে চেয়েছি, মৃত্যুকামনা বললেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.