আইনি জটে প্রায় বছরদুয়েক ধরে থমকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড় দিল পাটনা হাইকোর্ট। তার ফলে বিহারে প্রায় ১.২৫ লাখ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও আইনি বাধা থাকল না।
১৯৯৫ সালের বিশেষভাবে সক্ষম আইন এবং ২০১৬ সালের বিশেষভাবে সক্ষমদের অধিকার আইন মোতাবেক বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের জন্য জন্য চার শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আবেদনের জন্য তাঁদের বাড়তি সময় দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ১.২৫ লাখ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে মামলা দায়ের করেছিল জাতীয় ফেডারেশন অফ ব্লাইড (বিহার চ্যাপ্টার)। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টিহীনদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয়নি। সেই মামলায় পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার জানান, রাজ্যের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুরো প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হবে। এক মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থী-সহ পুরো ফলাফল প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের নির্দেশে প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল ললিত কিশোর জানিয়েছেন, যে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া শেষ তারিখের মধ্যে যোগ্যতা পূরণ করতে পেরেছেন, তাঁদের আবার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে রাজ্য। ২০১৯ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনের শেষদিন ছিল ১১ নভেম্বর। অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, আবেদনের জন্য বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ১৫ দিন দেওয়া হবে। তারপর সকলের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।