ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভা কারিগরি শিক্ষার জন্য ছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ‘মানকি মুন্ডা’ স্কলারশিপ স্কিমের অধীনে একজন ছাত্রী ডিপ্লোমা কোর্স করার জন্য বার্ষিক ১৫ হাজার টাকা বৃত্তি পাবে। অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে ছাত্রীদের। মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদের সচিব বন্দনা দাদেল বলেছেন, রাজ্যের প্রযুক্তিগত শিক্ষাতে ছাত্রীদের উৎসাহিত করার জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছেলে এবং মেয়েদের অনুপাত ৬ঃ১। এ কারণেই এই বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাজ্যের পক্ষ থেকে।
‘প্রথম বছরে ডিপ্লোমা কোর্স করা প্রায় ৩ হাজার জন ছাত্রী এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। একইভাবে, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে প্রথম বছরের জন্য ১২০০ জন শিক্ষার্থী সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন বন্দনা দাদেল। তিনি আরও বলেন,পরবর্তী অ্যাকাডেমিক সেশনে সুবিধা পেতে, শিক্ষার্থীকে কোনও ব্যাক পেপার ছাড়াই মোট ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
চম্পাই সোরেন সরকার ঝাড়খণ্ডের কৃষকদের সুদ-মুক্ত ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি কৃষকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ ফেরত দেয়, তবে এই পরিষেবা পাবেন তারা। বর্তমানে, দেশে কৃষকদের ঋণের জন্য ৭ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড সরকার সুদের সহায়তা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ হারে সুদ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ঝাড়খণ্ডে কৃষকরা সুদমুক্ত ঋণ পাবেন, কারণ এই ৪ শতাংশ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলেই ভর্তুকি দেয়। রাজ্যের কৃষি সচিব আবুবকর সিদ্দিক পিটিআইকে বলেছেন এই বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন৷
রাঁচি স্মার্ট সিটিতে ১১ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের জন্য নির্মিত বাড়ির জন্য ১১৪ কোটি টাকার সংশোধিত পরিমাণের অনুমোদন সহ মন্ত্রিসভা দ্বারা ২৫টি এজেন্ডা পাশ হয়েছিল। এর আগে, প্রকল্পের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন ছি ৭০ কোটি টাকা। রাজ্যের ৫৯৩টি এসসি, এসটি এবং ওবিসি হোস্টেল পরিচালনার জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলিকে (এনজিও) নিয়োগের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।
এনজিওগুলিকে হোস্টেলের জন্য বাবুর্চি, নাইট গার্ড এবং গ্রন্থাগারিকের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, জেএমএম প্রধান দুর্নীতির মামলায় জেলে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নিয়েছেন চম্পাই সোরেন। এখনও রাজনৈতিক ভাবে অস্থির রাজ্য, নানান প্রশ্ন করছে শরিক কংগ্রেসও। তবে তার মধ্যেই মহিলাদের কারিগরি শিক্ষায় উৎসাহিত করার এই পদক্ষেপ বিশেষ প্রশংসাসূচক।