ভারতের জন্য আশার খবর দিয়েছে করোনা পরবর্তী সমীক্ষা। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা সংক্রান্ত এই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, উচ্চশিক্ষায় বেড়েছে পড়ুয়াদের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, তার চেয়েও ভালো খবর, উচ্চশিক্ষা নিতে আসা মেয়েদের সংখ্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু বিষয়টি কি শুধুই তাই? নাকি এই সমীক্ষা আরও কিছু বলছে?
অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশন (All India Survey on Higher EducationবাAISHE)-এ রিপোর্টে বলা হয়েছে,২০১৯-২০ সালের তুলনায় ২০২০-২১ সালে প্রায় ৭.৫ শতাংশ বেশি পড়ুয়া উচ্চশিক্ষা নিতে এসেছেন। এছাড়াও ২০১৯-২০ সালে উচ্চশিক্ষা নিতে এসেছিলেন প্রায় ১.৮৮ কোটি ছাত্রী। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.০১ কোটি। রবিবার প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ যতটা বেড়েছে, সেই তুলনায় পেশাদার বা কারিগরি ক্ষেত্রে কি বেড়েছে তাঁদের অংশগ্রহণ? এ বিষয়ে কিন্তু উলটোটাই বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট। কী বলা হয়েছে সেখানে? দেখে নেওয়া যাক।
সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্ট জাতীয় ক্ষেত্রে এখনও বেশ পিছিয়ে রয়েছে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার। পরিসংখ্যান মতে, এখনও পর্যন্ত এই দুই ক্ষেত্রেই ৩০ শতাংশের কম মেয়েরা অংশ গ্রহণ করছেন।
দেশ জুড়ে স্কুলের পরিকাঠামো,শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যা,স্কুলগুলির অর্থনৈতিক হাল,পড়ুয়াদের ভর্তির সংখ্যা নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষায় আগের চেয়ে বেশি মেয়েরা এগিয়ে আসছেন। কিন্তু পেশাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট জাতীয় কোর্সে এখনও মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেশ কম। ২০১৯-২০ সালে ম্যানেজমেন্টের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সে মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা ছিল ২,৬৭,২৭৩। ২০২০-১২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২,৯৮,৫৯৪। আগের চেয়ে তা বেড়েছে বটে, কিন্তু সার্বিক হারের তুলনায় তা এখনও যথেষ্ট পরিমাণে কম। একই কথা প্রযোজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন এবং তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও।