এক লাফে ৬১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে কোম্পানির শেয়ারের দাম। সম্পদের নেট মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটিতে। পুজোর মাসে ভাগ্য সহায়, ভারতের নতুন কোটিপতির। দাবা খেলোয়াড় থেকে ব্যবসায়ী হওয়া পর্যন্ত তাঁর যাত্রার এই গল্পও আকর্ষণীয়।
ভারতের নতুন এই বিলিয়নিয়ারের নাম সৌরভ গ্যাডগিল। পুনের বাসিন্দা তিনি। জাতীয় স্তরের দাবা খেলোয়াড়ও ছিলেন। সম্প্রতি পিএন গ্যাডগিল জুয়েলার্স (পিএনজি জুয়েলার্স) এর গ্যাডগিল কোম্পানির ষষ্ঠ প্রজন্মের ব্যবসায়ী সৌরভ গ্যাডগিল।
আরও পড়ুন: (Shocking! বিনা নোটিশে চাকরি ছাড়ায় ৫ লাখ টাকা দিতে হবে, রায় আদালতের)
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, পিএন গ্যাডগিল জুয়েলার্সের আইপিও চালু হওয়ার পর থেকে, কোম্পানির শেয়ারে ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে, যার কারণে সৌরভ গ্যাডগিলের সম্পদ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এখন গ্যাডগিলের মোট মূল্য বেড়েছে প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার বা ১১০ কোটিতে। এই ব্যাপক বৃদ্ধিই তাঁকে ভারতের নতুন বিলিয়নিয়ারের তালিকায় স্থান দিয়েছে।
গ্যাডগিল এদিন তাঁর লিঙ্কডইন প্রোফাইলে লিখেছেন, 'একজন প্রাক্তন জাতীয় স্তরের দাবা খেলোয়াড় হিসাবে, জীবনে ত্রিশ ধাপ এগিয়ে চিন্তা করা আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। এই অভ্যাসটি কাজে আসে যখন আমি ১৯৯৮ সালে পিএনজি জুয়েলার্সের পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব গ্রহণ করি।' দূরদর্শিতা এবং চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়েই তিনি ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে আসতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব
সৌরভ গ্যাডগিল ১৯৯৮ সালে পিএন গ্যাডগিল জুয়েলার্সে যোগ দেন। ১৮৩২ মহারাষ্ট্রের সাংলিতে গণেশ নারায়ণ গাডগিল এই ব্যবসার প্রতিষ্ঠাতা। গণেশ নারায়ণ গ্যাডগিলের হাত ধরেই ফুটপাতে সোনার গয়না বিক্রি করা থেকে শুরু হয়েছিল ব্যবসা। আর এখন সৌরভের হাত ধরে তা 'পিইনজি' ব্র্যান্ড এবং আরও অনেক সাব-ব্র্যান্ড সহ ভারতে একটি সুপরিচিত জুয়েলারি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে পিএন গ্যাডগিল জুয়েলার্স। মুম্বইয়ের এই কোম্পানির প্রচার করতে দেখা গিয়েছে মাধুরী দীক্ষিত, সলমান খানকেও। এই কোম্পানি এখন ৩৯টি দোকানের পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও সোনা বিক্রি করে। এই কোম্পানি এখন ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজের চিহ্ন তৈরি করেছে।
শিক্ষা এবং প্রাথমিক কর্মজীবন
সৌরভ গ্যাডগিলের পুনের বৃহন মহারাষ্ট্র কলেজ অফ কমার্স থেকে বি.কম পাস। এর পর সিম্বাওসিস ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন তিনি। এমবিএ চলাকালীনই, গ্যাডগিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) ইন্টার্ন ছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে বিশ্বব্যাপী সোনার বাজার বুঝতে সাহায্য করেছিল।