নিটের সংশোধিত রেজাল্টে পশ্চিমবঙ্গের টপার কমে দাঁড়াল এক। প্রাথমিকভাবে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET-UG) যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে যে ৬৭ জন প্রথম হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিনজন পড়ুয়া ছিলেন। তবে গ্রেস মার্কস বাদ দেওয়া এবং ফিজিক্সের প্রশ্ন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে প্রথম স্থানাধিকারীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এক প্রার্থীর নাম আছে। সার্বিকভাবে নিটে পয়লা র্যাঙ্কে থাকা প্রার্থীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭-তে। তবে সংশোধিত মেধাতালিকায় (২৫ জুলাই) প্রথম একশোয় পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে তিনজন ছিলেন। সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ।
পশ্চিমবঙ্গের ২ টপারের র্যাঙ্ক পিছিয়েছে
গত ৫ মে পরীক্ষার পরে ৪ জুন নিটের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম স্থানে মোট ৬৭ জন প্রার্থীর নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থী। সংশোধিত ফলপ্রকাশের (২৫ জুলাই) পরে তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র অর্ঘ্য়দীপ দত্তের শীর্ষস্থান অটুট আছে (প্রাপ্ত নম্বর ৭২০)। বাকি দু'জনের র্যাঙ্ক পিছিয়ে গিয়েছে। এক শীর্ষ স্থানাধিকারীর র্যাঙ্ক ৩০ হয়েছে। অপরজন ৪৬-তে নেমে গিয়েছেন। তাঁদের দু'জনেরই প্রাপ্ত নম্বর হল ৭১৫।
সংশোধিত রেজাল্টে ব্যাপক লাভ অরিন্দম ও জিনিয়ার
আবার ৪ জুনের মেধাতালিকায় অরিন্দম চৌধুরীর র্যাঙ্ক ছিল ৮৬। সংশোধিত রেজাল্টে তাঁর র্যাঙ্ক ২৮-তে চলে এসেছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হল ৭১৫। অন্যদিকে, ৪ জুনের মেধাতালিকার প্রথম একশোর মধ্যে ছিলেন না জিনিয়া ভট্টাচার্য। সংশোধিতা মেধাতালিকায় ৯৭ নম্বরে আছেন তিনি। প্রাপ্ত নম্বর হল ৭১৫।
কেন মেধাতালিকায় এরকম পরিবর্তন হল?
প্রথমত, কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সময় নষ্টের জন্য কয়েকজন প্রার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। সেটা বাদ দেওয়ায় প্রথম স্থানাধিকারীর সংখ্যা কমে ৬১-তে ঠেকেছিল।
দ্বিতীয়ত, নিটে ফিজিক্সের একটি প্রশ্ন ছিল। অ্যাটমিক থিওরি নিয়ে সেই প্রশ্নে দুটি অপশনের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিলেই পুরো নম্বর দেওয়া হচ্ছিল। সেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের সামনে তুলে ধরা হলে আইআইটি দিল্লিকে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠনের নির্দেশ দেয় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে একটিই সঠিক অপশন থাকবে। তার ফলে অনেকের নম্বর কমে গিয়েছে। এমন অনেক প্রার্থী ছিলেন, যাঁরা আদতে ৭২০ পেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭২০-তে ঠেকেছে। তার জেরে মেধাতালিকায় পিছিয়ে গিয়েছেন কেউ-কেউ।
আরও পড়ুন: UPSC-র আদলে হবে WBCS Executive পরীক্ষার প্রশ্ন, সিলেবাসেও বদল, অনুমোদন রাজ্যের