জ্বর, কাশি, সর্দি বা করোনাভাইরাসের অন্য কোনও উপসর্গ থাকলে পড়ুয়াদের অন্যদিনে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কমপক্ষে আলাদা রুমে বসে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নয়া একটি স্ট্যার্ডাড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) জারি করে এই নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি)।
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই পরীক্ষা নিতে হবে। সেই নির্দেশিকার ৪৮ ঘণ্টা পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কীভাবে টার্ম পরীক্ষা, সর্বভারতীয় জয়েন্ট (জেইই মেনস এবং অ্যাডভান্সড), সর্বভারতীয় মেডিক্যাল (নিট) প্রবেশিকার পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত এসওপি জারি করা হয়েছে। ৪০ টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখা ইউজিসির চিঠিতে জানানো হয়েছে, এসওপি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ এবং উন্নয়ন মন্ত্রক। তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
তাতে পড়ুয়া, পরীক্ষার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক, পরিদর্শক - প্রত্যেককেই যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। একনজরে দেখে নিন কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে -
১) জ্বর, কাশি, সর্দি বা করোনাভাইরাসের অন্য কোনও উপসর্গ থাকলে পড়ুয়াদের অন্যদিন পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে অথবা কমপক্ষে আলাদা কক্ষে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
২) পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে দু'মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৩) পরিদর্শকদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরতে হবে।
৪) কনটেনমেন্ট জোন-সহ যে সব এলাকায় যাতায়াতে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে পড়ুয়াদের অ্য়াডমিট কার্ড বা পরিচয়পত্রই চলাচলের পাস হিসেবে গণ্য হবে। পরিদর্শকরাও যাতে পাস পান, তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিতে হবে।
৫) যে আধিকারিকরা পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের স্বঘোষিত (সেলফ ডিক্ল্যারেশন) ফর্ম জমা দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি প্রবেশ পথে থার্মো-গানের বন্দোবস্ত করতে হবে। কোনও আধিকারিক যদি কোনও একটি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।
৬) কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পড়ুয়া এবং কর্মীদের 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ ডাউনলোডের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
৭) প্রতিটি তলা, গেট, দেওয়াল, দরজা, আসবারপত্র, লিফট, সিঁড়ির হাতলের জীবাণুনাশ করতে হবে।
৮) ঢোকা এবং বেরনোর পথে ভিড় এড়াতে হবে। একইসঙ্গে সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার রাখতে হবে। থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা করতে হবে। রিসেপশনেও সেগুলি রাখতে হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়াদের নয়া মাস্ক দেবেন পরিদর্শকরা।
৯) পড়ুয়াদের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। তাঁদের মাস্ক পড়তে হবে। হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। অ্যাটেন্ডেন্স শিটে স্বাক্ষরের আগে এবং পরে পড়ুয়াদের হাত স্যানিটাইজ করার পরামর্শ দিতে হবে। সব পড়ুয়ারা যাতে বারবার হাত ধুতে পারে, সেজন্য সাবান-সহ হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন করতে হবে।
১০) ভবিষ্যতে কন্ট্য়াক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য পরীক্ষা আধিকারিক, পড়ুয়া, নিরাপত্তারক্ষী, হাউসকিপিং কর্মীদের যাবতীয় তথ্য রাখতে হবে।