ব্যাক বা সাপ্লি থাকলেও চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষার্থীদের কোনও পরীক্ষা দিতে হবে না বলে জানিয়েছিল রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নয়া নির্দেশিকার পর তা পুরো পালটে গেল। এবার চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের যে পড়ুয়াদের ব্যাক বা সাপ্লি আছে, তাঁদের পরীক্ষা দিয়েই সেই বিষয়ে পাশ করতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে ৮০-২০ শতাংশ পদ্ধতিতে মূল্যায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তারপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় পৃথকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। সেইমতো কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেস দিয়ে, কোথাও কোথাও আবার ৮০-২০ শতাংশ পদ্ধতিতে ব্যাক বা সাপ্লি থাকা চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পথে হাঁটছিল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
কিন্তু সোমবার রাতের দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নিতে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ইউজিসির তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, 'চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পড়ুয়াদের ব্যাক থাকলে অফলাইন বা অনলাইন বা দুটির সংশ্রিমণে পরীক্ষা নিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের মূল্যায়ন করতে হবে।'
আগামী ৩১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যে পড়ুয়ারা সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা দিতে পারবেন না, তাঁদের পরে একবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মিলবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।