স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কঠিন পদক্ষেপ করতে চেয়েছিল ব্রিটেন। যার জেরে স্টুডেন্ট ভিসায় ব্রিটেনে আসা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমেছে। গত বছরের তুলনায় উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে। কারণ, ঋষি সুনক বলেছিলেন যে ব্রিটেন তিনি গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসা সংশোধন করার কথা বিবেচনা করছে। ব্রিটেনের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নারাজ ছিলেন। তাই সুনক এখন আপাতত ব্রিটেনের গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসা চালিয়ে যাবে। ব্রিটিশ সরকার এটিকে ফের স্বাগত জানিয়েছে এবং সুনাক সরকার নতুন রূপে জনতার সামনে উপস্থাপনা করছে।
- গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসা কী
২০২১ সালে ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা চালু করা হয়েছিল। এই স্কিমটি ছাত্রদের স্নাতক ডিগ্রি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা অন্য যোগ্য কোর্সটি স্টুডেন্ট ভিসা বা টায়ার ৪ সহ ন্যূনতম সময়ের জন্য সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করার পরে কমপক্ষে দুই বছর ব্রিটেনে থাকার অনুমতি দেয়। গ্র্যাজুয়েট ভিসা দুই বছরের জন্য স্থায়ী হলেও, পিএইচডি বা অন্যান্য ডক্টরেট প্রার্থীদের দেশে থাকার জন্য তিন বছর সময় থাকে। আর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এর আগে এই গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসাতেই সংশোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ভিসার নীতি পরিবর্তনের ফলে দেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রবেশ সীমিত হয়ে যেত। কিন্তু আপাতত তা হবে না।
- গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসা বর্তমানে তুলে নেওয়া হচ্ছে না
গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসাটি ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় এবং প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় ছাত্র এই স্কিমের অধীনে ব্রিটেনে পড়াশোনা করতে যায়। সম্প্রতি ঋষি সুনক সরকার বলেছিল যে তারা এই স্কিম বাতিল করতে পারে। এরপর খোদ ব্রিটেনে সরকারের এই পদক্ষেপের প্রচুর বিরোধিতা হয়েছিল এবং অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক এই স্কিমটি বন্ধ না করার জন্য সরকারের কাছে আবেদনও করেছিলেন। আর এখন যেহেতু ব্রিটেনে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে, তাই মনে করা হচ্ছে যে আপাতত সরকার এটি চালিয়ে যাবে এবং সাধারণ নির্বাচনের পরে, নতুন সরকার এলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, ঋষি সুনক ব্রিটেনে আসা অভিবাসীদের ইস্যুতে খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এবং অবৈধ অভিবাসীদের আটকানোর চেষ্টা করছেন। এখন যেহেতু ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, সরকার এটিকে তার নীতির প্রভাব হিসাবে উল্লেখ করছে। উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতে অভিবাসী কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সন্তানদের আনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটিশ সরকার। যার কারণে অভিবাসীর সংখ্যাও ২৫ শতাংশ কমেছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'নীতির কারণে অভিবাসীর সংখ্যা কমছে এবং আমরা চাই আমাদের অভিবাসন নীতির অপব্যবহার করা না হয়। আন্তর্জাতিক ছাত্ররা এখানে যাতে আসতে পারে, তবে শুধুমাত্র পড়াশোনা করতে, কাজ করতে নয়।'