স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তরণের জন্য সেমিস্টার বা টার্মিনাল পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বৃহস্পতিবার একথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি অশোক ভূষণ, সুভাষ রেড্ডি, এবং এমআর শাহের একটি বেঞ্চ বলে, 'বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছে। তারা যদি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে চায় তবে আমরা তাদের না করতে পারি না। এটি আইনি পর্যালোচনার বিষয় নয়।'
আদালত ছাত্র আয়ূষ ইয়েসুদাসের করা PIL শুনানি করে। আয়ুষ দাবি করেছিলেন যে ইউজিসি নির্দেশিকা অনুসারে, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্নাতক / স্নাতকোত্তর কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ২৭,২০২০জন শিক্ষার্থীর নির্ভুলভাবে মূল্যায়ন করতে হবে এবং পরীক্ষার ভিত্তিতে নয় । করোনার জেরে ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বেঞ্চ জানিয়েছে যে ১৪ ই অগস্টের রায়ে এই বিষয়টি মোকাবেলা করা হয়েছে। সেখানে বেঞ্চ ইউজিসির ৬ জুলাইয়ের গাইডলাইনটি ইউজ / পিজি কোর্সে চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার বাধ্যতামূলক নির্দেশকে বহাল রাখে। একই সময়ে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পূর্ববর্তী বর্ষের শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার জন্য পরীক্ষা নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল।
২৭ এপ্রিল ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘মধ্যবর্তী সেমিস্টার / বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের প্রস্তুতির স্তর, শিক্ষার্থীদের আবাসিক অবস্থা, বিভিন্ন অঞ্চল / রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া কো ১৯ অতিমারীর বিস্তৃত মূল্যায়ন এবং অন্যান্য কারণ বিবেচনা করার পরে পরীক্ষা নিতে পারে । কোভিড -১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, "সামাজিক দূরত্ব" বজায় রাখতে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখতে, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের মাধ্যমে ৫০% নম্বর এবং বাকি ৫০% নম্বর কেবল পূর্ববর্তী সেমিস্টারে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রদান করা যেতে পারে (যদি পাওয়া যায়)।’
আবেদনকারী এটি উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘কোভিড -১৯ পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। এই অবস্থায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার অর্থ ইউজিসি নির্দেশিকাগুলি লঙ্ঘন করা।’
বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলে, ‘প্রতিটি কলেজের পরীক্ষা নিরীক্ষণ করা সম্ভব নয়। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা ইউজিসির নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করে না।’