অর্থনীতিতে স্নাতক। জাতীয় স্তরের ফুটবলার। মধুবনী শিল্পকার্যের প্রতি আছে বাড়তি আকর্ষণ। ২০২২ সালের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় প্রথম হলেন সেই ইশিতা কিশোর। আদতে বিহারের মেয়ে ইশিতা জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) অফিসার হতে চান। বেছে নিতে চান উত্তরপ্রদেশের ক্যাডার। যিনি আপাতত উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় থাকেন। আর আইএএস অফিসার হয়ে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করতে চান।
মঙ্গলবার UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সারাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ইশিতা। প্রথম দু'বার সফল না হলেও তৃতীয়বার একেবারেই প্রথম হয়েছেন ২৬ বছরের মেয়ে। আর সেই সাফল্যের পর নিজের বাড়ি থেকেই ইশিতা বলেন, ‘(UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়) প্রথম হওয়ায় অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। আমার স্বপ্ন সত্যি হল।’
আদতে পাটনার লোক হলেও দিল্লি থেকেই স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা শেষ করেছেন ইশিতা। দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হয়েছেন। তারপর দু'বার UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে তাতে সাফল্য আসেনি। তৃতীয়বারে অবশ্য ইশিতার উড়ান কেউ আটকাতে পারেনি।
ইশিতা জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের পিছনে পরিবারের বড় অবদান আছে। বাবা ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার। মা বেসরকারি স্কুলে পড়তেন। দাদা পেশায় আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘আমি পরিবারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। প্রথম দু'বার UPSC সিভিল সার্ভিসেসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলেও পরিবারের সদস্যরা আমার পশে দাঁড়িয়েছিলেন। ওরা আমার মনোবল বাড়াত।’
পরিবারকে পাশে পেয়ে ভেঙে পড়েননি ইশিতা। বরং নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য আরও পরিশ্রম করে গিয়েছেন। আর শেষপর্যন্ত সাফল্য লাভের পর ইশিতা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সাফল্যের কোনও শর্টকাট নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য দিনে আট থেকে নয় ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। তাঁর কথায়, ‘আমি যে রেজাল্ট করেছি, সেটার পিছনে আছে কঠোর পরিশ্রম। সাফল্যের কোনও সহজ পথ বা শর্টকাট নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে। চটজলদি কোনও সুরাহা নেই। আপনাকে সেই পরিশ্রম করতে হবে।’
তবে ইশিতা যে সারাক্ষণ মাথা গুঁজে পড়াশোনা করেন, সেটা মোটেও নয়। তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় স্তরের ফুটবলার। ২০১২ সালে সুব্রত টুর্নামেন্টে খেলেছিলাম।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, মধুবনী শিল্পকার্যের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ আছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)