বাংলা নিউজ > কর্মখালি > বকেয়া নন নেট ফেলোশিপ-এর টাকার দাবিতে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীর গবেষকদের

বকেয়া নন নেট ফেলোশিপ-এর টাকার দাবিতে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীর গবেষকদের

নন-নেট ফেলোশিপের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বিশ্ব ভারতীর গবেষকদের একাংশ।

বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গবেষকদের একাংশ।

দীর্ঘ দিন নন নেট ফেলোশিপ-এর টাকা মেলেনি। দ্রুত বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গবেষকদের একাংশ। এর আগে গত মঙ্গলবার তাঁরা একটি ডেপুটেশন জমা দেন।

২০১৬ সালে বিশ্বভারতীতে গবেষক হিসেবে ভর্তি হওয়ার সময় থেকেই সমস্যায় পড়েন প্রার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশিকা জারি করে জানায়, UGC-র সিদ্ধান্ত মতো নন নেট ফেলোশিপ বন্ধ করা হল। প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। এরপর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে UGC।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোনও নন নেট ফেলোশিপ পাননি বিশ্বভারতীর গবেষকরা। ওই দুই বছরের প্রাপ্য টাকার এক তৃতীয়াংশ দেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের কাছে বিশ্বভারতী লিখিত প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেয় যে, তাঁরা কোনও নন নেট ফেলোশিপ দাবি করতে পারবেন না। প্রতিবাদে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর অনশনে বসেন গবেষকরা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করা হয়।

গবেষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন আধিকারিক ও গবেষকদের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে আলোচনায় উপাচার্য প্রতিশ্রুতি দেন ২০২৮ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের ফেলোশিপ চালু করা হবে এবং ২০১৯ সালে গবেষকদের ও ফেলোশিপ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ভরতি হওয়া গবেষকদের বাকি থাকা ফেলোশিপ-এর অর্থের আরও এক তৃতীয়াংশ খুব তাড়াতাড়ি মেটানো হবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৬ এবং ২০২৭ সালের বকেয়া ফেলোশিপ মেটানো হলেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকরা এখনও কোন টাকা পাননি। জুন মাস থেকে বাকিদের মাসিক ফেলোশিপ বন্ধ। প্রতিবাদে সেন্ট্রাল অফিসে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান গবেষকরা।

বন্ধ করুন