চলতি মাসেই ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সমস্ত নন-নেট ফেলোশিপ-এর বকেয়া মিটিয়ে দেবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গবেষকদেরও লকডাউন পরবর্তী সময়ের নন-নেট ফেলোশিপ-এর জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরে বাকেয়া নন-নেট ফেলোশিপ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল বিশ্বভারতী ডেমোক্রেটিক রিসার্চ স্কলারস অর্গানাইজেশন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঠিক আগে উপাচার্যের কাছে একটি অনলাইন স্মারকলিপিও জমা দেয় সংগঠন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের ফেলোশিপ শুরু করা, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের বাকি থাকা ফেলোশিপ মিটিয়ে দেওয়া এবং যাঁরা নিয়মিত ফেলোশিপ পাচ্ছিলেন লকডাউনে, তাঁদেরও ফেলোশিপ বন্ধ না করার দাবি জানানো হয়েছিল স্মারকলিপিতে।
২০১৬ সাল থেকেই ফেলোশিপ নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয় বিশ্বভারতীতে। এই সময়ই নন-নেট ফেলোশিপ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে UGC। কিন্তু দেশজুড়ে আন্দোলনের চাপে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় UGC।
সেই সময় থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতী থেকে কোনও নন-নেট ফেলোশিপ দেওয়া হয়নি। পরে এই ২ বছরের এক তৃতীয়াংশ টাকা দেওয়া হলেও বাকি টাকা পাওয়া যায়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের নন-নেট ফেলোশিপ-এর এক তৃতীয়াংশ দেওয়া হলেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের কোনও ফেলোশিপ দেওয়া হয়নি।
এমন অবস্থায় বিশ্বভারতীর এই বিজ্ঞপ্তিকে নিজেদের ধারাবাহিক আন্দোলনের আংশিক জয় বলে মনে করছে বিশ্বভারতী ডেমোক্রেটিক রিসার্চ স্কলারস অর্গানাইজেশন। তবে সব শিক্ষাবর্ষের সমস্ত বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।