একাধিক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রূপশ্রী প্রকল্পে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। তবে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আবেদন চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে?
১) অ্যাকাউন্টেন্ট: সম্ভাব্য শূন্যপদের সংখ্যা ছয়। দু'জন অসংরক্ষিত প্রার্থী, একজন আর্থিকভাবে দুর্বল অসংরক্ষিত প্রার্থী এবং একজন করে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও ওবিসি-এ প্রার্থী নিয়োগ করা হবে। বেতন হবে মাসিক ১৫,০০০ টাকা।
আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে হতে হবে। প্রার্থীদের হতে হবে বাণিজ্য শাখায় স্নাতক। মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজের কাজের জ্ঞান এবং স্প্রেডশিট, ট্যালি এবং প্রেজেন্টেশন প্যাকেজ জানতে হবে। সরকারি বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে।
২) ডেটা এন্ট্রি অপারেটর: সম্ভাব্য শূন্যপদের সংখ্যা ৩১। অসংরক্ষিত পদের সংখ্যা নয়। অসংরক্ষিত (এক্স-সার্ভিসম্যান) পদের সংখ্যা এক। আর্থিকভাবে দুর্বল অসংরক্ষিত পদের সংখ্যা পাঁচ। অসংরক্ষিত (বিশেষভাবে সক্ষম) পদের সংখ্যা এক। তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা চার, তফসিলি জাতির (এক্স-সার্ভিসম্যান) জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা এক, তফসিলি জাতির (আর্থিকভাবে দুর্বল) জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা দুই, তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা দুই, ওবিসি-এ'র জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা দুই, ওবিসি-এ'র (আর্থিকভাবে দুর্বল) জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা এক, ওবিসি-বি'র জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা দুই এবং ওবিসি-বি'র (আর্থিকভাবে দুর্বল) জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা এক।
আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে হতে হবে। প্রার্থীদের স্নাতক করতে হবে যে কোনও বিষয়ে। মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজের কাজের জ্ঞান জানতে হবে। মিনিটে লিখতে হবে ৩০ টি শব্দ। সরকারি বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। সরকারি বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বয়সের সর্বোচ্চসীমায় তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিদের জন্য পাঁচ বছরের ছাড় মিলবে। ওবিসি প্রার্থীরা তিন বছরের ছাড় পাবেন।
কীভাবে আবেদন করতে হবে?
ফর্ম পূরণ করে এসডিও অফিসে জমা দিতে হবে। তা নিজেই জমা দিয়ে আসা যাবে বা পোস্টের মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
কী কী নথি লাগবে?
১) বয়সের প্রমাণ: মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড।
২) ঠিকানার প্রমাণ: ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড বা রেশন কার্ড/ পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট বা পুরপ্রধানের দেওয়া রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট।
৩) শিক্ষাগত প্রমাণ: শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কম্পিউটার অভিজ্ঞতার সেলফ অ্যাটেসটেড কপি।
৪) এছাড়াও সেলফ অ্যাটেসটেড জাতিগত শংসাপত্র এবং সেলফ অ্যাটেসটেড অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট লাগবে।
৫) আবেদনপত্রের সঙ্গে দুটি সেলফ অ্যাড্রেসড খাম এবং স্ট্যাম্প দিতে হবে।
৬) লাগবে দুটি পাসপোর্ট ছবি।