প্রকাশিত হল ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের মেধা তালিকা। অতিরিক্ত ছ'নম্বর (সর্বোচ্চ) যোগ করার পর ৭৩৮ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। অর্থাৎ দীর্ঘ আইনি জটের পর রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার পথে আরও একধাপ এগোলেন ৭৩৮ জন প্রার্থী।
মেধাতালিকায় কাদের নাম আছে?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে শেষ প্রার্থীর তুলনায় কম নম্বর পাওয়ার কারণে সুযোগ পাননি এবং আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের সর্বোচ্চ ছ'নম্বর দেওয়ার পর যাঁরা সুযোগ পাবেন, তাঁদের নাম মেধাতালিকায় আছে। সেইসঙ্গে যাঁরা হাইকোর্টে আবেদন মামলা করেছিলেন, তাঁদের নম্বর যোগ করার পর সেই মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলার ইতিবৃত্ত
দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে। পরীক্ষায় ছ'টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যাঁরা ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। তারইমধ্যে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরও মামলা দায়ের হয়েছিল। তারইমধ্যে ৭৩৮ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তথ্য যাচাই এবং ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। সেই তালিকার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন পাঁচদন প্রার্থী। তাঁরা দাবি করেছিলেন, অনেক যোগ্য প্রার্থীর নাম নেই তালিকায়। সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করে নিয়েছিল পর্ষদ। জানানো হয়েছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। সেগুলি সংশোধন করে নেওয়া হবে। যে প্রার্থীদের অভিযোগ আছে, তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেজন্য ১৫ দিন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।