সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন(CBSE) বোর্ড পরীক্ষার দিন ঘোষণা করেছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। নির্ধারিত সময়ের থেকে এ বছর দেরিতে পরীক্ষা হলে তা যেমন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডারে প্রভাব ফেলবে, তেমনই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে।
CBSE-এর তরফে জানানো হয়েছে, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৪মে থেকে ১০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে। করোনা র কারণে অনলাইন ক্লাস এখন পঠন পাঠনের একমাত্র উপায়। নতুন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়েরই বেশ সমস্যা হচ্ছে। এরফলে পড়াশুনো তে যে ক্ষতি হচ্ছে ত পূরণ করতেই এবারের বোর্ড পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়।
CBSEর এই ঘোষণার পর রাজ্য সরকারি বোর্ড গুলিও ২০২১ সালের পরীক্ষার সময় পিছনোর সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ব বিদ্যালয়, IIT সহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি কে এই ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা বর্ষের ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দিল্লি বিশ্ব বিদ্যালয় স্নাতক স্তরের ভর্তির প্রথম কাট অফ প্রকাশ করে ১৯ জুন। কিন্তু এ বছর CBSE সহ কিছু রাজ্যের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল মধ্য জুলাইতেও প্রকাশিত হয়নি। ফলে ভর্তি প্রক্রিয়াও বিলম্বিত হয়। একই অবস্থা তৈরি হয় IITগুলিতেও। গুজরাতের মাহেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নরেশ জাদেজা বলেন, বোর্ড পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার কমপক্ষে দুমাস পিছিয়ে যাবে। কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হতে সেপ্টম্বর হয়ে যাবে।
যে সব পড়ুয়া বিদেশে পড়তে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে তাদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্নাতক স্তরে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার মতো বিদেশি বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।