ফেব্রুয়ারিতেই অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। সেইমতো রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)।
আরও পড়ুন : Guest Lecturer Payment- অতিথি শিক্ষকদের বর্ধিত হারে ভাতা চালু করার কাজ শুরু করছে রাজ্য
নয়া বিধি অনুযায়ী, এবার থেকে আর ইন্টারভিউ থাকছে না। লিখিত পরীক্ষা পাশ করলেই মিলবে নিয়োগের সুযোগ। পাশাপাশি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের জন্য যে নম্বর বরাদ্দ থাকত, তাও তুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে লিখিত পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরই হতে চলেছে নিয়োগের একমাত্র বিচার্য বিষয়।
আরও পড়ুন : West Bengal school teacher transfer notification- নিজ জেলায় বদলির বিষয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি
এবার থেকে লিখিত পরীক্ষা হবে মোট ৩০০ নম্বরের। দুটি ধাপে হবে সেই পরীক্ষা। প্রথম ধাপে টেট বা প্রিলিমিনারি টেস্ট হবে। যে প্রার্থীরা উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের টেট পরীক্ষায় বসতে হবে। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে আবেদনকারী প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি টেস্ট দিতে হবে।
আরও পড়ুন : বিশ্বের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তালিকায় প্রথম ৫০-এ ভারতের দুই, ৮৬ নম্বরে IIT খড়্গপুর
দ্বিতীয় ধাপে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে ইংরেজির জন্য। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী যে মাধ্যমের স্কুলে পড়াবেন সেই ভাষায় থাকবে ৫০ নম্বর। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা যে বিষয় নির্বাচন করেছেন, তাতে ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। অর্থাৎ আবেদনকারীরা যে বিষয় পড়াতে চান, সেই বিষয়ে ১০০ নম্বর থাকবে।
আরও পড়ুন : West Bengal Government Jobs: ভোটের মুখে প্রায় ২০০০ শূন্যপদে নিয়োগ রাজ্যের
একসঙ্গে পরীক্ষা হলেও টেট বা প্রিলিমিনারি টেস্টে উত্তীর্ণ হলে তবেই দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার খাতার মূল্যায়ন হবে। দুটি লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। এছাড়াও, শিক্ষক নিয়োগের জন্য পাঁচটি আলাদা গ্রুপ করা হবে। নির্দিষ্ট যোগ্যতামান অনুসারে সবকটি গ্রুপেই আবেদন জানাতে পারবেন পরীক্ষার্থী।