দায়বদ্ধতা তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলে ফেরার তাগিদও রয়েছে পুরো দস্তুর। অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে ইরানির মঞ্চে নজর কাড়তে পারলে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগে জাতীয় নির্বাচকদের ভাবনায় ভেসে থাকা যাবে। বিষয়টা ভালো মতোই বোঝেন শার্দুল। সম্ভবত সেই কারণেই রঞ্জির আগে বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না তিনি। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পরেও ম্যাচ থেকে দূরে থাকতে পারলেন না শার্দুল। হাসপাতাল থেকে ফিরেই ফের নেমে পড়লেন মাঠে।
লখনউয়ে চলতি ইরানি কাপের দ্বিতীয় দিনে ১০২ জ্বর নিয়েই ব্যাট করতে নামেন শর্দুল ঠাকুর। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন তিনি। একাধিকবার মাঠেই ফিজিওকে ডেকে প্রাথমিক শুশ্রুষা নিতে হয় শার্দুলকে। শেষমেশ দ্বিতীয় দিনের শেষে হাসপাতালে ভরতি করতে হয় মুম্বইয়ের তারকা পেসার অল-রাউন্ডারকে।
আরও পড়ুন:- মিলল নিরাপত্তার আশ্বাস! বাংলাদেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাপূরণ হতে পারে শাকিবের
বৃহস্পতিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে বল করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না শার্দুল। তবে শুক্রবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে দলের প্রয়োজনের সময় লড়াই থেকে দূরে থাকতে পারেননি তিনি। অবশিষ্ট ভারতীয় দলের ইনিংস যখন ৭৯ ওভারে গড়ায়, বল হাতে তুলে নেন শার্দুল। পরে মুম্বই দ্বিতীয় নতুন বল নিলে আরও ৩ ওভার বল করেন শার্দুল। অসুস্থতা সঙ্গে নিয়েই প্রথম ইনিংসে মোট ৪ ওভার বল করেন শার্দুল। খরচ করেন ১৭ রান। যদিও কোনও উইকেট পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে ইরানি কাপে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা ৫৩৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন সরফরাজ খান। তিনি ২৮৬ বলে ২২২ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ২৫টি চার ও ৪টি ছক্কা।
নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন অজিঙ্কা রাহানে। তিনি ২৩৪ বলে ৯৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে আউট হন। মারেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া শ্রেয়স আইয়ার ৫৭ ও তনুষ কোটিয়ান ৬৪ রানের যোগদান রাখেন। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে অবশিষ্ট ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান তোলে। নিশ্চিত দ্বিশতরান হাতছাড়া করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। তিনি ২৯২ বলে ১৯১ রান করে আউট হন। মারেন ১৬টি চার ও ১টি ছক্কা। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন ধ্রুব জুরেল। তিনি ১২১ বলে ৯৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ১৩টি চার ও ১টি ছক্কা।