সুনীল নারিন, মহম্মদ আমির, শাকিব আল হাসান, অ্যান্ড্রু টাইয়ের মতো প্রথম সারির বোলারদের থেকেও বেশি উইকেট সংগ্রহ করেন। কড়া টক্কর দেন জেসন বেহরেনডর্ফ, আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের মতো বোলারদের। সদ্য সমাপ্ত গ্লোবাল টি-২০ কানাডায় বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরান থমাস ড্রেকা।
নিতান্ত অচেনা নাম, তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের এই আনকোরা ক্রিকেটারের পরিচয় জানার আগ্রহ তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। এটা জানার পরে অবাক হতেই হবে যে, ২৩ বছরের এই ডানহাতি পেসার প্রথম সারির কোনও ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের প্রতিনিধি নন। আসলে তিনি ইতালির ক্রিকেটার।
আইসিসি সমস্ত সহযোগী দেশের টি-২০ ম্যাচকে এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়। তাই থমাসের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোটে ৪টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন থমাস। সেই ৪টি ম্যাচে তিনি সংগ্রহ করেছেন সাকুল্যে ৮টি উইকেট।
এবছর গ্লোবাল টি-২০ কানাডায় ব্রাম্পটন উলভসের হয়ে মাঠে নামেন থমাস। টুর্নামেন্টের মোটে ৬টি ম্যাচে সাকুল্যে ১৭ ওভার বল করে তিনি। সংগ্রহ করেন মোট ১১টি উইকেট। যুগ্মভাবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ড্রেকা।
তিনটি ম্যাচে তিনি ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি ম্যাচে নিয়েছেন ২টি উইকেট। যে ২টি ম্যাচে উইকেটহীন থাকেন ড্রেকা, তাতে খুব বেশি রান খরচ করেননি তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইতালির পেসারের ইকনমি রেট মোটে ৬.৮৮।
গ্লোবাল টি-২০ কানাডায় থমাস ড্রেকার ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স
১. বনাম সারে জাগুয়ারস- ১৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
২. বনাম টরন্টো ন্যাশনালস- ১৮ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
৩. বনাম ভ্যাঙ্কুভার নাইটস- ১৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
৪. বনাম বাংলা টাইগার্স- ১০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
৫. বনাম সারে জাগুয়ারস- ৩০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন।
৬. বনাম টরন্টো ন্যাশনালস- ২৪ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
এবছর গ্লোবাল টি-২০ কানাডার খেতাব জেতে টরন্টো ন্যাশনালস। ফাইনালে তারা হারিয়ে দেয় মন্ট্রিয়াল টাইগার্সকে। শুরুতে ব্যাট করে মন্ট্রিয়াল টাইগার্স ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৯৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টরন্টো ন্যাশনালস ১৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।