হরিয়ানার বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্রন স্মরণ। বিদর্ভের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারের ফাইনালে ১০১ রান করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন তিনি। এবার ফর্ম্যাট বদলে রঞ্জির মঞ্চে মাঠে নেমে ফের শতরান করলেন রবিচন্দ্রন।
চিন্নাস্বামীতে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, দেবদূত পাডিক্কালরা বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। তবে কর্ণাটককে নির্ভরতা দেয় ২১ বছর বয়সী রবিচন্দ্রন স্মরণের দাপুটে শতরান।
চিন্নাস্বামীতে রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পঞ্জাব ও কর্ণাটক। টস জিতে কর্ণাটক দলনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাবকে। শুরু থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে পঞ্জাব। শেষমেশ ২৯ ওভারে তারকাখচিত পঞ্জাবের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৫ রানে। শুভমন গিল মাত্র ৪ রান করে আউট হন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক প্রথম দিনেই ৫০ ওভার ব্যাট করে তুলে ফেলে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। অর্থাৎ, বিরাট রানের লিডের দিকে এগিয়ে যায় তারা। ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ২০ রান করে আউট হন। ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরে দেবদূত পাডিক্কাল। রবিচন্দ্রন স্মরণ ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ বলে ৮৩ রান করে প্রথম দিনে অপরাজিত থাকেন।
ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান রবিচন্দ্রনের
দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন রবিচন্দ্রন। ব্যক্তিগত ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে থাকা স্মরণ ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের রানে। ১২০ বলে শতরান পূর্ণ করার পথে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাকান তিনি।
ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকেই রণে ভঙ্গ দেননি রবিচন্দ্রন। বরং তিনি নিজের তথা দলের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে স্মরণ অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ১৫০ রানে। ২০৬ বলের ইনিংসে তিনি ১৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন। শ্রেয়স গোপাল নট-আউট ছিলেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। ৪৫ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মেরেছেন।
দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে কর্ণাটক তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান। তারা সাকুল্যে ৮৪ ওভার ব্যাট করে। সুতরাং, পঞ্জাবের থেকে প্রথম ইনিংসের নিরিখে কর্ণাটক তখনই এগিয়ে ২৮১ রানে। তাদের হাতে রয়েছে এখনও ৫টি উইকেট।