আইপিএলের ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের পরে টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুর দিকে যে রকম লো-স্কোরিং ম্যাচ খেলা হচ্ছিল, তাতে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের বিরক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। কেননা লোকে টি-২০ ক্রিকেটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। অবশেষে বিশ্বকাপের সুপার এইট রাউন্ডে মারকাটারি ক্রিকেটের ঝলক দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ওপেনার ফিল সল্ট যে রকম তাণ্ডব চালান, অক্ষরিক অর্থেই তাতে আইপিএলের ঝলক চোখে পড়ে।
ফিল সল্ট গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট উপহার দেন। বিশ্বকাপে সেই ধারা বজায় রাখলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেন্ট লুসিয়ায় ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সুপার এইটের ম্যাচে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন সল্ট। তাঁর মারকাটারি ইনিংসে ভর করেই ইংল্যান্ড কার্যত একতরফাভাবে উড়িয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
সল্ট ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৭টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে রোমারিও শেফার্ডের এক ওভারের ৬টি বলকেই বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেন ব্রিটিশ ওপেনার।
দ্বিতীয় ইনিংসের ১৬তম ওভারে বল করতে আসেন শেফার্ড। তাঁর প্রথম বলে চার মারেন সল্ট। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে ফের চার মারেন ব্রিটিশ তারকা। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর ২টি ছয় মারেন সল্ট। ওভারের শেষ বলে চার মারেন তিনি। সেই ওভারের ৬টি বলে যথাক্রমে ৪, ৬, ৪, ৬, ৬ ও ৪ রান ওঠে। অর্থাৎ, ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় সেই ওভারে মোট ৩০ রান সংগ্রহ করেন সল্ট।
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে ইংল্যান্ড। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। ব্র্যান্ডন কিং ২৩, জনসন চার্লস ৩৮, নিকোলাস পুরান ৩৬, রোভম্যান পাওয়েল ৩৬ ও শেরফান রাদারফোর্ড ২৮ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার, আদিল রশিদ, মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৭.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সল্টের অপরাজিত ৮৭ ছাড়া ৪৮ রান করে নট-আউট থাকেন জনি বেয়ারস্টো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেস।