অবশেষে চলতি এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষ হল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এবং সুপার ফোরের প্রথম দিনের ম্যাচও ভেস্তে যায় বৃষ্টির জন্য। রিজার্ভ ডে'তে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময়ও বৃষ্টি নামে। মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ওভার কমিয়ে শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হয় সেই ম্যাচ। এই ম্যাচে পাকিস্তানের বোলিং অ্যাটাকের উপর কার্যত রাজত্ব চালান ভারতের প্রথম চার ব্যাটার। প্রথম দিন শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা অর্ধশত রান করে যাওয়ার পর রিজার্ভ ডে'তে বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল শতরানের গণ্ডি টপকান। তাদের যুগলবন্দি স্কোরবোর্ডে ৩৫৬ রানের বিরাট রান যোগ করে। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে পাক বোলাররা আর কোনও উইকেট ফেলতে পারেননি।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই পাক বোলারদের নিজেদের আর অনুসারে চালাতে থাকেন কোহলি ও রাহুল। তখনই বোঝা যায় বড় রান আসতে চলেছে এই দুই ব্যাটারদের থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত দু'জনই যে অপরাজিত থাকবেন সেই হিসাব কেউ করতে পারেননি। কেএল রাহুল দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরে এসে অসাধারণ ছন্দ দেখিয়েছেন। সবথেকে বড় কথা দৌড়ে অনেক রান তিনি করেছেন। অন্যদিকে বিরাট কোহলি নিজের ১২২ রানের ইনিংসে অধিকাংশ রানই দৌড়ে নিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে এই দুই ব্যাটারের ছন্দ ফিরে আসা অনেকটাই অক্সিজেন জোগাবে ভারতীয় দলকে।
(এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকা দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
অন্যদিকে বিশাল রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটাররা। একদিনের ক্রিকেটের এক নম্বর দলের এইরকম অবস্থা হবে কেউ তা কল্পনা করতে পারেনি। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং বিভাগও অসাধারণ ফরম দেখিয়েছে। জসপ্রীত বুমরাহ তাঁর প্রথম স্পেলে অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য নাজেহাল অবস্থা হয় পাক ব্যাটারদের। এরপর কামাল দেখান কুলদীপ যাদবও। তিনি আবার পাঁচ উইকেট নেন। তাকে বিশ্বকাপের দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল নয় তিনি তা প্রমাণ করলেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার মুখেও তাদের প্রশংসা শোনা যায়।
(এশিয়া কাপে কার কবে খেলা জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
এরপর নিজেদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এটা অসাধারণ পারফরম্যান্স। রবিবার থেকেই আমরা খুব ভালোভাবে খেলাটাকে শুরু করি। ব্যাট করতে নামার পরেই বুঝতে পারি যে ব্যাটিং করার জন্য এটা আদর্শ উইকেট। মিডিল অর্ডারে দু'জন অভিজ্ঞ ব্যাটার যে ভালো করবে সেটা আমরা জানতাম কিন্তু ওরা যেভাবে খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে গেল তা অবিশ্বাস্য। বোলিং বিভাগে বুমরাহ অসাধারণ করেছে। বিগত ১০-১৫ মাস ধরে অনেক পরিশ্রম করে এই জায়গায় ফিরে এসেছে ও। দুইদিকে বল যেভাবে সুইং করাছিল তা এক কথায় অসাধারণ। ওকে এই ছন্দে দেখতে পেরে অসাধারণ লাগছে। বিশেষ করে আমি রাহুলের জন্য খুব খুশি। চোট থেকে ফিরে এসে রান করা অনেকটাই কঠিন। টস করতে যাবার ৫ মিনিট আগে আমরা ওকে জানাই যে খেলতে হবে। এইরকম পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসা সত্যিই অসাধারণ।'