প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পরই মার্নাস ল্যাবুশান বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর খেলার পরিবর্তনের দরকার রয়েছে। মার্নাস ল্যাবুশানকে অস্ট্রেলিয়ান শিবির থেকে বলা হয়েছিল যে তাঁকে ভারতের ভয়ানক আক্রমণের বিরুদ্ধে আরও বেশি স্কোর করতে হবে। ব্যাট হাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন, এটি তাকে তার নিজের খেলায় একটি পর্যালোচনা করতে প্ররোচিত করেছিল। নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য মার্নাস ল্যাবুশানের হাতে ১০ দিনের মতো সময় ছিল। কী হল তারপর?
পার্থে সিরিজের প্রথম ইনিংসে জসপ্রীত বুমরাহ অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে ৫২ বল খেলেছিলেন মার্নাস ল্যাবুশান। ডানহাতি ব্যাটার এই সময় মাত্র ২ রান করেছিলেন। সিরাজের বলে LBW হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেছিলেন তিনি। এবার জসপ্রীত বুমরাহর বলে LBW আউট হয়েছিলেন মার্নাস ল্যাবুশান। এরপরেই নিজের ব্যাটিং নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করেন তিনি। নিজের ভুল খোঁজার চেষ্টা করেন মার্নাস ল্যাবুশান।
আরও পড়ুন… World Chess Championship: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে হারিয়ে লিড নিলেন ডি. গুকেশ
এরপরে নিজের ভুল নিয়ে কাজ শুরু করেন মার্নাস ল্যাবুশান। পরের টেস্টের জন্য হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ১০ দিন। এই দশ দিনেই নিজের ভুল শুধরে আবার মাঠে নামেন এবং মাঠে নেমেই সকলকে অবাক করলেন। অ্যাডিলেড ওভালে পিঙ্ক বল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২৬ বলের মোকাবিলা করে ৬৪ রান করেন তিনি। এই সময়ে অ্যাডিলেডের এই ইনিংসে ৯টি চার মেরে ৫০.৭৯ গড়ে রান করেন মার্নাস ল্যাবুশান। এই ম্যাচটি ১০ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া এবং তারা সিরিজে সমতায় ফিরেছে।
আরও পড়ুন… IND vs AUS: হোটেলের রুমে বসে না থেকে অনুশীলন করুন: রোহিত-গম্ভীরদের গাভাসকরের বিশেষ পরামর্শ
এই জয়ের পরে নিজের লড়াইয়ের গল্প শোনান মার্নাস ল্যাবুশান। তিনি বলেন, ‘পার্থ টেস্টের শেষে, আমি জানতাম যে আমি ভালোভাবে বল খেলতে পারছি না। আমি যেভাবে খেলছি সেটার অনেক কিছুই ছিল যা এখন আর আমার পছন্দ হচ্ছিল না।’ তবে মন খারাপ না করে এর থেকে ইতিবাচক দিক গুলো খুঁজে পেয়েছিলেন মার্নাস ল্যাবুশান। তিনি বলেন, ‘আমি এর থেকে যে ইতিবাচক দিকগুলি ছিল সে গুলো নিয়েছিলাম তা হল (যদিও) আমার কৌশল। কীভাবে আউট হচ্ছিলাম সেগুলো দেখে শিক্ষা নিতে থাকি। এখান থেকে আউট না হওয়ার পথ খুঁজতে থাকি।’
আরও পড়ুন… IND vs AUS: হঠাৎ পিছন থেকে গিলক্রিস্টকে জড়িয়ে ধরলেন ভারতীয় ফ্যান, বন্ধ করে দিলেন চোখ
মার্নাস ল্যাবুশান আরও বলেন, ‘বিভিন্ন জিনিসের উপর চেষ্টা করতে থাকি এবং কাজ করতে থাকি। এটি কাজ করে কিনা তা খুঁজে বের করতে থাকি এবং আমার যা প্রয়োজন তা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ফিল্টার করি এবং সেই কাজ চালিয়ে যাই যেটা করতে সত্যিই পুরো সপ্তাহ লেগেছিল। ১০ দিনের ছুটি ছিল, এই দিন গুলোতে বলের সঙ্গে আবার সংযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। বলটিকে সুন্দরভাবে লাইন করা এবং সেখানে আমি কোথায় লিঙ্কটি মিস করছিলাম তা খুঁজে বের করি। আমি টানা নয় দিন দিনের পর দিন বল মারতে থাকি। আমি যেখানে থাকতে চেয়েছিলাম সেখানে ফিরে যাওয়ার উপায় খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। এটাই ছিল সেই যাত্রা যেটা আমি মঙ্গলবার শুরু করেছিলাম। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে আমি যখন অ্যাডিলেডে যাব তখন আমি দারুণ ছন্দে থাকব। সেটাই করেছি।’