পার্থে গ্রিন-টপ পিচ বানিয়ে ভারতকে প্রথম ইনিংসে সস্তায় অল-আউট করলেও শেষমেশ ম্যাচ হারতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। পিচ থেকে পেসাররা সাহায্য পেলে বুমরাহদের সামলানো কতটা কঠিন, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন প্যাট কামিন্সরা। স্বাভাবিকভাবেই অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাইশগজ নিয়ে সতর্ক অজি শিবির।
যদিও অ্যাডিলেডেও গ্রিন-টপ পিচ বানানো ছাড়া উপায় নেই অজি ক্রিকেট বোর্ডের সামনে। কেনন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে গোলাপি বলে। ডে-নাইট টেস্টের জন্য ব্যবহৃত এই বলের প্রথম শর্তই হল পিচে ঘাস ছেড়ে রাখতে হবে। নাহলে বাড়তি পালিশ উঠে গিয়ে বল দেখতেই সমস্যায় পড়তে হবে ব্যাটারদের।
অ্যাডিলেড টেস্ট শুরুর আগে দিন দু'য়েক সময় রয়েছে। আপাতত পিচে ৭ মিলিমিটারেরও বেশি ঘাস ছাড়া রয়েছে। তবে অ্যাডিলেডের কিউরেটর ড্যামিয়েন আগেভাগে জানিয়ে দিলেন যে, ম্যাচের আগে ঘাস ছাঁটা হবে অল্প। তিনি নিশ্চিত করেন যে, অ্যাডিলেডের ডে-নাইট টেস্টে পিচে ঘাস থাকবে ৬ মিলিমিটার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুক্রবার অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনে পর্যাপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আশা করা হচ্ছে ৫৩ হাজার দর্শক কানায় কানায় ভরিয়ে তুলতে পারেন গ্যালারি। এমনিতেই ঘাসের পিচে পেসাররা বাড়তি সাহায্য পান। তার উপর গোলাপি বলে ব্যাট করা কার্যত দুর্বিসহ হয়ে দাঁড়ায় ব্যাটারদের কাছে। তাই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে পেসারদের একতরফা দাপট দেখা যেতে পারে।
এই প্রসঙ্গে অ্যাডিলেডের কিউরেটর আশ্বস্ত করতে না পারলেও জানান যে, তিনি এবং তাঁর টিম চেষ্টা করছেন এমন পিচ তৈরি করার, যাতে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশাপাশি স্পিনাররাও যাতে টেস্টে প্রভাব ফেলতে পারেন, সেদিকেও তাঁদের নজর থাকবে বলে জানান ড্যামিয়েন। যার অর্থ, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অ্যাডিলেডে স্পোর্টিং পিচ তৈরির চেষ্টা করবেন বলে জানান কিউরেটর। বাস্তবে তেমনটা যে নাও দেখে যেতে পারে, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ড্যামিয়েন সেটা স্বীকারও করে নেন। তিনি স্পষ্ট জানান যে, মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ফ্লাড লাইটে পেসাররা বিস্তর সাহায্য পেতে পারেন। তাছাড়া প্রথম দিনে পিচের সাহায্য ছাড়াও অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বল বাড়তি সুইং করবে বলে ধারণা কিউরেটরের।
ড্যামিয়েন বলেন, ‘অ্যাডিলেডের ইতিহাস বলছে, ফ্লাড লাইটে ব্যাট করা কঠিন। পিচে ৬ মিলিমিটার ঘাস থাকবে। আমরা এমন একটা পিচ উপহার দিতে চাই, যেখানে ভালো লড়াই হবে।’