সোমবার মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে ঘাতক ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান করুণ নায়ার। মহীশূর ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক ম্যাঙ্গালোর ড্রাগনসের বিরুদ্ধে একাধিক ছক্কা ও চার মেরেছিলেন। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৪৮ বলে অপরাজিত ১২৪ রান করেন করুণ নায়ার। ৯টি ছক্কা ও ১৩টি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। করুণ নায়ারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ভিত্তিতে মহীশূর ২২৬/৪ এর বিশাল স্কোর করে। আমাদের বলে দেওয়া যাক করুণ নায়ার ভারতীয় দলের হয়ে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের পর তিনিই একমাত্র ভারতীয় যিনি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। যদিও করুণ নায়ার দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।
আরও পড়ুন… বুমরাহকে ঠিক কী শেখাতে পারবেন মর্নি মর্কেল? উত্তর দিলেন ভাই অ্যালবি
ওয়ারিয়র্স বনাম ড্রাগনস ম্যাচে ৩২ বছর বয়সি নায়ার ওয়ান ডাউন হয়েছিলেন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়ারিয়র্সের। ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার অজিত কার্তিক। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেন নায়ার। দ্বিতীয় উইকেটে এসইউ কার্তিকের (২৩) সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। সমিত দ্রাবিড় ১৬ রান এবং সুমিত কুমার ১৫ রান অবদান রাখেন। চতুর্থ উইকেটে সুমিতের সঙ্গে ৪৪ রান যোগ করেন নায়ার। ১৬তম ওভারে উইকেট হারান সুমিত। এরপর মনোজ ভান্দগে (অপরাজিত ৩১) এর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এবং দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান করুণ নায়ার।
আরও পড়ুন… কেন সেদিন ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন? ঐতিহাসিক ঘটনার নেপথ্যের গল্প শোনালেন শিলাদিত্য
ভারতীয় দলে কামব্যাকের দিকে নজর
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৩০৩ রান করে লাইমলাইটে আসেন করুণ নায়ার। ২০১৭ সালের মার্চে তিনি তার শেষ টেস্ট খেলেন এবং এরপরে দলে ফিরে আসতে পারেননি। তবে ভারতীয় দলে ফেরার আশা ছাড়েননি করুণ নায়ার। তিনি সম্প্রতি ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন দেখা এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। এটা আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমি মনে করি আমি আগের মতোই ব্যাটিং করছি। আমার মানসিক অবস্থা ভালো, আমি জানি আমার খেলা কোথায়।’
আরও পড়ুন… মায়ের ক্লাসে রান্না শিখছেন মনু ভাকের! অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জেতার পরে রান্না ঘরেই সময় কাটাচ্ছেন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু নিশ্চিত করছি যে আমি যদি সুযোগ পাই, তা যেখানেই থাকুক না কেন, আমি সেই সুযোগগুলির সদ্ব্যবহার করার দিকে মনোনিবেশ করব যাতে আমি আবার উপরে উঠতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন যে একজন খেলোয়াড়ের ৩০-৩১ বছর বয়সে তাঁর পিক ফর্মে থাকেন, এটা আমি বিশ্বাস করি যে এটি সত্য। গত এক বছর আমার ভালো কেটেছে। গত বছরের মহারাজা টি-টোয়েন্টির পর ঘরোয়া মরশুমটা আমার খুব ভালো কেটেছে।’