নতুন করে শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গতকাল তিনি দাবি করেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরফে ঠিকভাবে যোগাযোগ করা হয়নি তাঁর সঙ্গে। এই কারণেই তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়েছিলেন। গত বছর কেকেআর-এর অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়স। তাঁর নেতৃত্বেই দল আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সবাই ভেবেছিলেন হয়তো আইপিএল ২০২৫-এর জন্য রিটেন করা হবে তাঁকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁকে ২৬.৭৫ কোটি টাকার বিনিময় দলে নেয় পঞ্জাব কিংস। কিন্তু কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়লেন শ্রেয়স? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন সমর্থকরা। সম্প্রতি সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। এবার শ্রেয়সকে নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন প্রাক্তন নাইট তারকা আকাশ চোপড়া। তিনি আইয়ারের কেকেআর-এর তরফে যোগাযোগ না করার বিষয়টা উড়িয়ে দিলেন।
আকাশ চোপড়া যা দাবি করলেন:
এক ভিডিয়োতে আকাশ চোপড়া দাবি করেন শ্রেয়সের সঙ্গে কথা বলেছিল নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্ট। তিনি জোর গলায় দাবি করেন যে তাঁর নিজস্ব সূত্র আছে, সেখান থেকে জানতে পেরেছেন বিষয়টি। আকাশ বলেন, ‘শ্রেয়স আইয়ার দাবি করেছে যে তাকে রিটেন করার বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করেনি কেকেআর। আমি এটা নিশ্চিত করেছি যে কথা বলা হয়েছিল। ভালো ভাবে কথাবার্তা হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন আলোচনা চলেছিল। অনেকবার কথা হয়েছে তাদের মধ্যে। চুক্তি হয়নি, তবে সেটা ভিন্ন বিষয়। শ্রেয়সের মনে আশঙ্কা ছিল কোথাও- ও ভাবছিল এটা হলে কী হবে বা ওটা না হলে কী হবে। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে কথা হয়েছিল। কিন্ত শ্রেয়স বলছে হয়নি। দুই তরফের কথায় ফারাক রয়েছে।’ এরপর আকাশ চোপড়া মজা করে বলেন, ‘শ্রেয়স এই ভিডিয়ো দেখে বলতে পারে কথা হয়নি। আমিও তখন জোর গলায় বলব আমারো সূত্র আছে, আমিও বলতে পারি কথা হয়েছিল।’
শ্রেয়স আইয়ার যা দাবি করেছিলেন:
এই বিষয়ে শ্রেয়স আইয়ার এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘নিশ্চিতভাবে কেকেআর-এর হয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আমার কাছে একটা দুর্দান্ত মুহূর্ত ছিল। টিমের ফ্যান ফলোয়িং অসামান্য ছিল; তারা স্টেডিয়ামে আলাদা পরিবেশ তৈরি করতো। আমি সেখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতাম। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে আমার সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের কথোপকথন (রিটেনশন সম্পর্কে) হয়েছিল। কিন্তু তারপর কয়েক মাস ধরে কথা আর এগোয় না এবং রিটেন করার বিষয়টি নিয়ে তাদের তরফে কোনও সদর্থক প্রচেষ্টাও ছিল না। কি ঘটছে তা নিয়ে আমি বিভ্রান্ত ছিলাম। ঠিক ভাবে যোগাযোগ না করার কারণে আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।’ তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও মুখ খোলেনি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।