ইশান কিষানের সেঞ্চুরি এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়, বাবা ইন্দ্রজিৎ ও মানব সুতারের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে ইন্ডিয়া-সি দল বড় রানের ইনিংস গড়ে। তবে পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-বি দলও যোগ্য জবাব দিচ্ছে। অন্তত বি-দলের দুই ওপেনার ইনিংসের শুরুটা করেছেন যে রকম দাপটের সঙ্গে, তাতে অভিমন্যু ঈশ্বরনরা শক্ত ভিত গড়েছেন বলা যায়।
অনন্তপুরে দলীপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইন্ডিয়া-সি দলের বিরুদ্ধে টস জেতেন ইন্ডিয়া-বি দলের ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। তিনি টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান ইন্ডিয়া-সি দলকে। প্রথম দিনের শেষে ইন্ডিয়া-সি দল তাদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫৭ রান তোলে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে ইন্ডিয়া-সি দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৫২৫ রানে। তারা সাকুল্যে ১২৪.১ ওভার ব্যাট করে।
ইশান ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন মাত্র ১২০ বলে। সাহায্য নেন ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার। শেষমেশ ১২৬ বলে ১১১ রান করে আউট হন তিনি। মারেন ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কা। বাবা ইন্দ্রজিৎ ব্যক্তিগত ৭৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। ১৩৬ বলের ইনিংসে তিনি মোট ৯টি চার মারেন। ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৭৪ বলে ৫৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। মানব সুতার ১৫৬ বলে ৮২ রান করেন। তিনি ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ৭৫ বলে ৪৩ রান করে আউট হন সাই সুদর্শন। তিনি ৮টি চার মারেন। ৬৭ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন রজত পতিদার। তিনিও ৮টি চার মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হন উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল। মায়াঙ্ক মার্কান্ডে ১৭, অংশুল কাম্বোজ ৩৮, বিজয়কুমার বৈশাক ১২ ও সন্দীপ ওয়ারিয়র ১১ রানের যোগদান রাখেন।
ইন্ডিয়া-বি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার ও রাহুল চাহার। ১টি করে উইকেট নেন নভদীপ সাইনি ও নীতীশ রেড্ডি। উইকেট পাননি ওয়াশিংটন সুন্দর ও সাই কিশোর।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-বি দল দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১২৪ রান তুলেছে। তারা ব্যাট করেছে ৩৬ ওভার। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন ও নায়ারণ জগদীশান।
ক্যাপ্টেন ঈশ্বরন ৯১ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। জগদীশান ১২৬ বলে ৬৭ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ৮টি চার মেরেছেন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ইন্ডিয়া-সি দলের থেকে ইন্ডিয়া-বি দল পিছিয়ে রয়েছে ৪০১ রানে।