খারাপ সময়ও লোকেশ রাহুলের পাশেই দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মাঝে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। এরপর লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা মোটেই ভালো হয়নি রাহুলের। বলা ভালো সেই থেকে সময়টা খারাপই যাচ্ছে তাঁর। আইপিএলে দলের খারাপ পারফরমেন্সের জন্য কর্ণধারের কাছে ব্যাপক ঝাড় খেতে হয়েছিল এলএসজি অধিনায়ককে।
আরও পড়ুন-ভালো করতে গিয়ে বিরাটদের ক্ষতি করছে BCCI! স্পেশাল ট্রিটমেন্ট নিয়ে বিরক্ত মঞ্জরেকর
এরপর টিম ইন্ডিয়ার টি২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি লোকেশ রাহুলের। তাঁকে ছাড়াই দল চ্যাম্পিয়ন হয়। যাও বা শ্রীলঙ্কা সিরিজে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন সিমিত ওভারে, সেখানে গিয়ে তিনি তেমন নজরকাড়া কিছু করতে পারেননি। যদি লাল বলের ক্রিকেটের কথা বলা হয়, তাহলে দলীপ ট্রফিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর চেন্নাইতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫০ রানের গণ্ডিও টপকাপে পারেননি কেএল। যদিও এরপরেও তাঁর ওপর ভরসাই রাখছে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন-একদম ফালতু কথা না! RCB নিয়ে গুজব ছড়াতেই মেজাজ হারালেন ঋষভ পন্ত…
কানপুরে শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টেও ভারতের প্রথম একাদশে সম্ভবত সুযোগ পাচ্ছেন লোকেশ রাহুল। অন্তত তেমন ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ার। ব্যাটে ছন্দ না পেলেও, লোকেশ রাহুলের মধ্যে অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রচুর। প্রতিভা নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ নেই, তাই আরও কিছুটা সুযোগ দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন-আফগানিস্তানের জন্য কাঁদতে দেখেছি ওকে! ‘মসিহা’ জাদেজাকে নিয়ে বললেন আফগান অধিনায়ক…
লোকেশ রাহুলের সঙ্গে আলাদা করে কথা গম্ভীরের…
কানপুর টেস্ট শুরুর একদিন আগেই ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ আরও একবার লোকেশ রাহুলের ওপর ভরসা রাখার কথা জানিয়ে বলছেন, ‘যখন তুমি ভারতে খেলছ, তখন আলাদা করে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয়, কেএল রাহুল এমনই একজন ক্রিকেটার যে নিজের খেলাটা ভালোভাবেই বোঝে। ওকে নতুন করে তাই কিছু বোঝানোর নেই। কখনও কখনও এমন সময় আসে, যখন প্লেয়াররা একটু পায়ের তলায় জমি খোঁজে। দঃ আফ্রিকায় যখন ভারত গেছিল তখন ও দুরন্ত ক্রিকেট খেলেছিল। তাই আমরা খুবই আশাবাদী, গৌতম গম্ভীর এবং আমার সঙ্গে রাহুলের যেরকম কথা হয়েছে, তাতে ও নিশ্চয় ঘুরে দাঁড়াবে ’।
প্রসঙ্গত ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট লোকেশ রাহুলের পাশে থাকলেও তাঁর সঙ্গে গৌতম গম্ভীর এবং অভিষেক নায়ারের কথা বলার অর্থ কেএলকে নতুন করে বোঝাতে হবে না। কারণ এভাবে আলাদা করে যে তাঁকে বারবার গৌতি বা অভিষেক বোঝাতে পারবেন না, সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ টিম ইন্ডিয়ার এই মূহূর্তে রিজার্ভ বেঞ্চ বা সাপ্লাই লাইন এতটাই মজবুত যেখানে ফর্ম দ্রুত না পেলে, তাঁর পরিবর্তে সরফরাজ-ধ্রুব জুরেলরা পরের সিরিজেই ঢুকে পড়তে পারেন প্রথম একাদশে।