ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করেন অভিষেক শর্মা। ওয়াংখেড়েতে ৫৪ বলে ১৩৫ রান করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বল হাতেও দুটি উইকেট নেন অভিষেক। তাঁর এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারত ৪-১ ব্যবধানে সিরিজে জয় পায়। এরকম এক ইনিংস খেলার পর অবশ্যই আপ্লুত অভিষেক। সেঞ্চুরির পর এক অভিনব ভঙ্গিতে সেলিব্রেশন করেন তিনি। যা নিয়ে কৌতূহল ছিল সমর্থকদের মনে। সোমবার বিসিসিআই-এর তরফে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটা ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে তিনি সেলিব্রেশনের অর্থ ব্যাখ্যা করেছেন।
ভিডিয়োতে অভিষেক বলেন, ‘যখন যখন আমি হাফ সেঞ্চুরি করেছি, তখন এই ভাবে সেলিব্রেশন করেছি। এর অর্থ হল লাভ। আমি আমার ইনিংসকে উপভোগ করেছি। কারণ এর আগে ভারতের মাটিতে সিরিজে আমি ৩০ রানও ঠিক ভাবে করতে পারেনি। আগে আমি ভাবতাম সেঞ্চুরি করলে কিভাবে সেলিব্রেশন করব, কিন্তু যখন শতক করলাম তখন পুরো ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গেছিলাম। কিন্তু যেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল সেটা একেবারে স্বাভাবিক ছিল।’
পঞ্চম টি-২০ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেট তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেললেও দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ১১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন অভিষেক শর্মা এবং তিলক বর্মা। মাত্র ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন অভিষেক। ৩৭ বলে সম্পন্ন করেন সেঞ্চুরি। একটু জন্য রোহিত শর্মার রেকর্ড ভাঙার থেকে পেছনে থেকে যান তিনি। ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম বলে টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার নজির রয়েছে রোহিতের। ৩৫ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
ভিডিয়োতে পরবর্তীতে অভিষেক বলেন, ‘আমি জানি তাঁর (রোহিত) নামে রেকর্ড রয়েছে। যদি আমার দিন হয় তাহলে প্রথম বল থেকেই আমি মারব। আর ভাগ্যবশত আজ আমার দিন ছিল। আমি সেই কারণে কৃতজ্ঞ। যেই ভাবে সূর্যকুমার যাদব এবং গৌতম গম্ভীর পাশে থেকেছে তাতে আমি খুশি। আমার থেকে তাদের আমার উপর বেশি ভরসা ছিল। আমি প্রচুর উৎসাহ পেয়েছি। সবচেয়ে ভালো লাগে যখন কোচ এবং অধিনায়ক আক্রমণাত্মক ভাবে খেলার কথা বলে। আমি বলতে পারি যে বাকি তরুণ ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও এরকম ইনিংস দেখতে পাবেন।’ দর্শকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানের সমর্থকরা সব সময় ভারতের জন্য গলা ফাটায়। এটা আমার অন্যতম পয়া মাঠ।’